ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

মূল্যস্ফীতি খাদ্যে এখনো ১৩ শতাংশ

  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিসেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি চাপে রাখা খাদ্য মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির এই দুই হার এখনো দুই অঙ্কের ঘরে থাকার মানে হলো, নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বিদায়ী ২০২৪ সালের সর্বশেষ মাসের মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

তার আগের বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮। বিবিএসের এই তথ্য দেখাচ্ছে, গত বছরের পুরো সময় দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে ছিল। বিবিএসের তথ্যে আরও দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি ভুগছে। গ্রামীণ এলাকায় ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহর অঞ্চলের তুলনায় বেশি ছিল। বিবিএস জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ফলে নভেম্বরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও টানা ৯ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

নভেম্বর মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল। গত ডিসেম্বরে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হওয়ার মানে হলো, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১০০ টাকায় যে পণ্য কেনা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে ভোক্তাকে ১১২ টাকা ৯২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।

গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর শহরাঞ্চলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি খাদ্যে এখনো ১৩ শতাংশ

আপডেট সময় : ০৮:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিসেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি চাপে রাখা খাদ্য মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির এই দুই হার এখনো দুই অঙ্কের ঘরে থাকার মানে হলো, নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বিদায়ী ২০২৪ সালের সর্বশেষ মাসের মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

তার আগের বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮। বিবিএসের এই তথ্য দেখাচ্ছে, গত বছরের পুরো সময় দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে ছিল। বিবিএসের তথ্যে আরও দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি ভুগছে। গ্রামীণ এলাকায় ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহর অঞ্চলের তুলনায় বেশি ছিল। বিবিএস জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ফলে নভেম্বরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও টানা ৯ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

নভেম্বর মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল। গত ডিসেম্বরে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হওয়ার মানে হলো, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১০০ টাকায় যে পণ্য কেনা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে ভোক্তাকে ১১২ টাকা ৯২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।

গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর শহরাঞ্চলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।