ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

মূল্যস্ফীতির বলির পাঁঠা নিম্নআয়ের মানুষ

  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

বর্তমানে বাজার শব্দটা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের কাছে আতঙ্কের নাম। এই আতঙ্ক সৃষ্টির পেছনের কারণ যতা না প্রাকৃতিক তার থেকেও বেশি কৃত্রিম। এই কৃত্রিম সংকট সমাজের উচ্চ শ্রেণির কাছে তেমন পাত্তা না পেলেও নিম্ন শ্রেণির কাছে তা গলার কাঁটা।
রাজনীতির পটপরিবর্তনের ফলে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ সুযোগে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশের বাজারে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ স্বার্থান্বেষী মহলে আসলে কারা? এর উত্তর যতা সহজ তার থেকে উত্তরণ ততা কঠিন। কারণ এর পেছনে রয়েছে বাজার সিন্ডিকেট, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক চক্র। তাদের প্রধান ট্রাম্প কার্ড হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তথাকথিত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ও দেশের নানাবিধ দুর্যোগ পরিস্থিতি। এসব বিষয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের পকেট ভারি করছে স্বার্থান্বেষী মহল।
দেশে চাহিদার তুলনায় জোগান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দ্রব্য আমদানিতে উৎসাহিত করছে। পক্ষান্তরে দুষ্কৃতকারী ব্যবসায়ী পণ্যসামগ্রী মজুদ করে কৃত্রিমভাবে দ্রব্যের চাহিদা সৃষ্টি করছে ফলে দামের ঊর্ধ্বগতি ঘটছে।
সমস্যা নিরসনে সরকারকে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনকে পুনর্গঠন করে বাজার তদারকি ও মোবাইল কোর্টের উপস্থিতি রাখতে হবে।
সব পণ্যের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা নজরদারি করতে হবে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ কমাতে দ্রব্যমূল্য হ্রাসের বিকল্প নেই।

ফাহিম হাসান
শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতির বলির পাঁঠা নিম্নআয়ের মানুষ

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমানে বাজার শব্দটা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের কাছে আতঙ্কের নাম। এই আতঙ্ক সৃষ্টির পেছনের কারণ যতা না প্রাকৃতিক তার থেকেও বেশি কৃত্রিম। এই কৃত্রিম সংকট সমাজের উচ্চ শ্রেণির কাছে তেমন পাত্তা না পেলেও নিম্ন শ্রেণির কাছে তা গলার কাঁটা।
রাজনীতির পটপরিবর্তনের ফলে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ সুযোগে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশের বাজারে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ স্বার্থান্বেষী মহলে আসলে কারা? এর উত্তর যতা সহজ তার থেকে উত্তরণ ততা কঠিন। কারণ এর পেছনে রয়েছে বাজার সিন্ডিকেট, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক চক্র। তাদের প্রধান ট্রাম্প কার্ড হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তথাকথিত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ও দেশের নানাবিধ দুর্যোগ পরিস্থিতি। এসব বিষয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের পকেট ভারি করছে স্বার্থান্বেষী মহল।
দেশে চাহিদার তুলনায় জোগান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দ্রব্য আমদানিতে উৎসাহিত করছে। পক্ষান্তরে দুষ্কৃতকারী ব্যবসায়ী পণ্যসামগ্রী মজুদ করে কৃত্রিমভাবে দ্রব্যের চাহিদা সৃষ্টি করছে ফলে দামের ঊর্ধ্বগতি ঘটছে।
সমস্যা নিরসনে সরকারকে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনকে পুনর্গঠন করে বাজার তদারকি ও মোবাইল কোর্টের উপস্থিতি রাখতে হবে।
সব পণ্যের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা নজরদারি করতে হবে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ কমাতে দ্রব্যমূল্য হ্রাসের বিকল্প নেই।

ফাহিম হাসান
শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়