ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

মূল্যবোধ বজায় রাখতে ব্যাংকারদের প্রতি স্পিকারের আহ্বান

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ; জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ব্যাংকিং খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে এবং সবার জন্য একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই মূল্যবোধভিত্তিক ধারণাটি উন্নয়ন ও সমবণ্টন বজায় রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্যের মতো সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে, যাতে আরও শক্তিশালী একটি সমাজ তৈরি করা যায়।’
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজের (জিএবিভি) ১৩তম সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সানরাইজ ব্যাংকসের সিইও অ্যান্ড জিএবিভির চেয়ার ডেভিড রাইলিং, ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন, জিএবিভির নির্বাহী পরিচালক মার্টিন রোনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার জনমুখী, পৃথিবীবান্ধব, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘যেখানে উন্নয়ন ও সমবণ্টনের মধ্যে এই পারস্পরিক নির্ভরশীল সম্পর্ক বজায় থাকবে, যাতে সমাজের কেউ পিছিয়ে না পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি ও সম্পদের সমবণ্টন একটি জাতির টেকসই উন্নয়নের জন্য দুটি সবচেয়ে অপরিহার্য উপাদান। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পুরো জনসংখ্যার জন্য, বিশেষ করে জনসংখ্যার সুবিধাবঞ্চিত এবং দুর্বল অংশের জন্য সুযোগ নিশ্চিত করা। সমান বণ্টনের দিকে জোর দিয়ে দ্রুত সম্প্রসারণকে শক্তিশালী করতে হবে।’
‘ফ্রম পারস্পেকটিভস টু অ্যাকশন: ট্রান্সফরমেশনাল প্র্যাকটিস ইন অ্যাকশন’ থিম নিয়ে ৫০ জনের বেশি প্রতিনিধি, বিশেষ করে সদস্য-ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশে এটি জিএবিভির দ্বিতীয় বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন।
২০০৯ সালে ১০টি ব্যাংক দ্বারা জিএবিভি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ব্যাংকগুলো একটি ন্যায্য, সবুজ এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থার প্রয়োজনে বিশ্বাস করে। ব্র্যাক ব্যাংক হলো প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বৈশ্বিক এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র ব্যাংক। মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রে মানুষ ও বিশ্বকে একত্রে রাখে। আকার, ব্যবসায়িক মডেল, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট কিংবা বাজারের ক্ষেত্রে শক্তিশালী বৈচিত্র্যের সঙ্গে তারা একটি সাধারণ লক্ষ্য ভাগ করে নেয়। তাদের উদ্দেশ্য হলো, সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে এবং একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে অর্থায়নকে ব্যবহার করা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যবোধ বজায় রাখতে ব্যাংকারদের প্রতি স্পিকারের আহ্বান

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক ; জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ব্যাংকিং খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে এবং সবার জন্য একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই মূল্যবোধভিত্তিক ধারণাটি উন্নয়ন ও সমবণ্টন বজায় রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্যের মতো সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে, যাতে আরও শক্তিশালী একটি সমাজ তৈরি করা যায়।’
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজের (জিএবিভি) ১৩তম সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সানরাইজ ব্যাংকসের সিইও অ্যান্ড জিএবিভির চেয়ার ডেভিড রাইলিং, ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন, জিএবিভির নির্বাহী পরিচালক মার্টিন রোনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার জনমুখী, পৃথিবীবান্ধব, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘যেখানে উন্নয়ন ও সমবণ্টনের মধ্যে এই পারস্পরিক নির্ভরশীল সম্পর্ক বজায় থাকবে, যাতে সমাজের কেউ পিছিয়ে না পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি ও সম্পদের সমবণ্টন একটি জাতির টেকসই উন্নয়নের জন্য দুটি সবচেয়ে অপরিহার্য উপাদান। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পুরো জনসংখ্যার জন্য, বিশেষ করে জনসংখ্যার সুবিধাবঞ্চিত এবং দুর্বল অংশের জন্য সুযোগ নিশ্চিত করা। সমান বণ্টনের দিকে জোর দিয়ে দ্রুত সম্প্রসারণকে শক্তিশালী করতে হবে।’
‘ফ্রম পারস্পেকটিভস টু অ্যাকশন: ট্রান্সফরমেশনাল প্র্যাকটিস ইন অ্যাকশন’ থিম নিয়ে ৫০ জনের বেশি প্রতিনিধি, বিশেষ করে সদস্য-ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশে এটি জিএবিভির দ্বিতীয় বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন।
২০০৯ সালে ১০টি ব্যাংক দ্বারা জিএবিভি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ব্যাংকগুলো একটি ন্যায্য, সবুজ এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থার প্রয়োজনে বিশ্বাস করে। ব্র্যাক ব্যাংক হলো প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বৈশ্বিক এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র ব্যাংক। মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রে মানুষ ও বিশ্বকে একত্রে রাখে। আকার, ব্যবসায়িক মডেল, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট কিংবা বাজারের ক্ষেত্রে শক্তিশালী বৈচিত্র্যের সঙ্গে তারা একটি সাধারণ লক্ষ্য ভাগ করে নেয়। তাদের উদ্দেশ্য হলো, সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে এবং একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে অর্থায়নকে ব্যবহার করা।