ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

মুশফিককে কিপিংয়ে চান সাকিব

  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ‘উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান’ থেকে অনেক দিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিমের পরিচয় শুধু ‘ব্যাটসম্যান।’ তবে এবার এশিয়া কাপ থেকেই এই সংস্করণে ফিরে আসছে তার পুরনো পরিচয়। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে আবার কিপিং গ্লাভস হাতে দেখতে চান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক সবশেষ কিপিং করেছেন সেই ২০২০ সালের মার্চে। সেবার জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর থেকে সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত ২৬ ম্যাচে কিপিং করেছেন নুরুল হাসান সোহান, ৮টিতে লিটন কুমার দাস ও ১টিতে এনামুল হক। মূলত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ফসকানো, কিপিংয়ে নিয়মিত ভুল আর কিপার হিসেবে সোহানের উত্থান, সব মিলিয়েই কিপিং ছাড়তে হয় মুশফিককে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফর থেকে টেস্টেও কিপিং করছেন না মুশফিক। যদিও তখন তিনি কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে চান। তবে তার কিপিংয়ের দুর্বলতা নিয়ে প্রবল সমালোচনার প্রচ্ছন্ন একটা ভূমিকা সেই সিদ্ধান্তেও ছিল। গত প্রায় তিন বছরে তিনটি টেস্টে কিপিং করেছেন সোহান, বাকি সবকটিতে লিটন।
কেবল ওয়ানডেতেই তিনি এখনও নিয়মিত কিপিং করছেন। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বেশ কবারই কিপার মুশফিকের প্রতি নিজের আস্থার কথা বলেছেন। এবার সেই ভাবনায় সামিল হলেন সাকিবও। বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে সোমবার সাকিব বললেন, তার নেতৃত্বের জন্য অনেক সুবিধা হয় মুশফিক উইকেটের পেছনে থাকলে। “উইকেটকিপিং যেটা হচ্ছেৃ উনি এটা করলে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে সময়টা খুব কম থাকে। যেটা হয়, ফিল্ডিংয়ের অ্যাঙ্গেলগুলো উনি খুব সহজে বদলাতে পারেন। আমার কাছে শোনারও দরকার নাই। আমার দায়িত্বটা অনেক সহজ হয়ে যায়।” “উনি কিপিং করলে আমি ফিল্ডিং পজিশনের চিন্তা করা থেকে কিংবা অ্যাঙ্গেলগুলো নিয়ে, কে-কোথায় দাঁড়াচ্ছে, এসবের বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারি। কারণ আমার পক্ষে ১১ জন ক্রিকেটারের দিকে খেয়াল করা সবসময় দেখা সম্ভব নয়। একমাত্র কিপারই এটা ভালো দেখতে পারে। উনার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে, এগুলো খুব সহজ হয়ে যায়।” আগামী ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাই আবার টি-টোয়েন্টিতে দেখা যেতে পারে কিপার মুশফিককে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুশফিককে কিপিংয়ে চান সাকিব

আপডেট সময় : ০৩:০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ‘উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান’ থেকে অনেক দিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিমের পরিচয় শুধু ‘ব্যাটসম্যান।’ তবে এবার এশিয়া কাপ থেকেই এই সংস্করণে ফিরে আসছে তার পুরনো পরিচয়। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে আবার কিপিং গ্লাভস হাতে দেখতে চান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক সবশেষ কিপিং করেছেন সেই ২০২০ সালের মার্চে। সেবার জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর থেকে সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত ২৬ ম্যাচে কিপিং করেছেন নুরুল হাসান সোহান, ৮টিতে লিটন কুমার দাস ও ১টিতে এনামুল হক। মূলত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ফসকানো, কিপিংয়ে নিয়মিত ভুল আর কিপার হিসেবে সোহানের উত্থান, সব মিলিয়েই কিপিং ছাড়তে হয় মুশফিককে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফর থেকে টেস্টেও কিপিং করছেন না মুশফিক। যদিও তখন তিনি কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে চান। তবে তার কিপিংয়ের দুর্বলতা নিয়ে প্রবল সমালোচনার প্রচ্ছন্ন একটা ভূমিকা সেই সিদ্ধান্তেও ছিল। গত প্রায় তিন বছরে তিনটি টেস্টে কিপিং করেছেন সোহান, বাকি সবকটিতে লিটন।
কেবল ওয়ানডেতেই তিনি এখনও নিয়মিত কিপিং করছেন। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বেশ কবারই কিপার মুশফিকের প্রতি নিজের আস্থার কথা বলেছেন। এবার সেই ভাবনায় সামিল হলেন সাকিবও। বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে সোমবার সাকিব বললেন, তার নেতৃত্বের জন্য অনেক সুবিধা হয় মুশফিক উইকেটের পেছনে থাকলে। “উইকেটকিপিং যেটা হচ্ছেৃ উনি এটা করলে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে সময়টা খুব কম থাকে। যেটা হয়, ফিল্ডিংয়ের অ্যাঙ্গেলগুলো উনি খুব সহজে বদলাতে পারেন। আমার কাছে শোনারও দরকার নাই। আমার দায়িত্বটা অনেক সহজ হয়ে যায়।” “উনি কিপিং করলে আমি ফিল্ডিং পজিশনের চিন্তা করা থেকে কিংবা অ্যাঙ্গেলগুলো নিয়ে, কে-কোথায় দাঁড়াচ্ছে, এসবের বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারি। কারণ আমার পক্ষে ১১ জন ক্রিকেটারের দিকে খেয়াল করা সবসময় দেখা সম্ভব নয়। একমাত্র কিপারই এটা ভালো দেখতে পারে। উনার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে, এগুলো খুব সহজ হয়ে যায়।” আগামী ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাই আবার টি-টোয়েন্টিতে দেখা যেতে পারে কিপার মুশফিককে।