ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

মুম্বাইয়ে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় টাউটি

  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় টাউটি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মুম্বাইতে এসে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এই শহরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১৮৫ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গতকাল সোমবার মুম্বাই, থানে, পালঘর, রায়গড়, সিন্ধুদুর্গ জেলায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। আর তাঁবু খাটিয়ে যেসব স্থানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছিল, তাঁদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছ
গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মুম্বাই বিমানবন্দর বন্ধ ছিল। এ ছাড়া উচ্চ জোয়ারের সম্ভাবনা আছে। তাই মুম্বাই-ওয়ার্লি সি-লিংক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মুম্বাই, থানে, রায়গড়, সিন্ধুদুর্গ, পালঘর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুম্বাইতে ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের’ (এনডিআরএফ) তিনটি ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। পাঁচটি অস্থায়ী আশ্রয় নির্মাণ করা হয়েছে। দাদর, ওয়ার্লি, মাতুংগা, মাহিম, লোয়ার পারেল, থানেসহ বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র সরকার আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল। বোম্বে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ‘ফিল্ড কোভিড সেন্টার’–এর করোনা রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই রাজ্যের তিনটি জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের ৬ হাজার ৫০০ জনকে সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মহারাষ্ট্রের রতœাগিরির উপকূলবর্তী অঞ্চলের ৪০টি বাড়ির প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনটি বিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুনের নিকটবর্তী অঞ্চলের ৭০টি বাড়ির প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গত রোববার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেছিলেন। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎসেবা যাতে ব্যাহত না হয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত রাখা হয়েছে। যেসব জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের দাপট প্রবল হতে পারে, সেসব জেলায় ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত অক্সিজেনের ব্যাকআপ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুম্বাইয়ে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় টাউটি

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় টাউটি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মুম্বাইতে এসে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এই শহরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১৮৫ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গতকাল সোমবার মুম্বাই, থানে, পালঘর, রায়গড়, সিন্ধুদুর্গ জেলায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। আর তাঁবু খাটিয়ে যেসব স্থানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছিল, তাঁদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছ
গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মুম্বাই বিমানবন্দর বন্ধ ছিল। এ ছাড়া উচ্চ জোয়ারের সম্ভাবনা আছে। তাই মুম্বাই-ওয়ার্লি সি-লিংক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মুম্বাই, থানে, রায়গড়, সিন্ধুদুর্গ, পালঘর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুম্বাইতে ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের’ (এনডিআরএফ) তিনটি ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। পাঁচটি অস্থায়ী আশ্রয় নির্মাণ করা হয়েছে। দাদর, ওয়ার্লি, মাতুংগা, মাহিম, লোয়ার পারেল, থানেসহ বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র সরকার আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল। বোম্বে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ‘ফিল্ড কোভিড সেন্টার’–এর করোনা রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই রাজ্যের তিনটি জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের ৬ হাজার ৫০০ জনকে সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মহারাষ্ট্রের রতœাগিরির উপকূলবর্তী অঞ্চলের ৪০টি বাড়ির প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনটি বিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুনের নিকটবর্তী অঞ্চলের ৭০টি বাড়ির প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গত রোববার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেছিলেন। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎসেবা যাতে ব্যাহত না হয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত রাখা হয়েছে। যেসব জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের দাপট প্রবল হতে পারে, সেসব জেলায় ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত অক্সিজেনের ব্যাকআপ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত রাখা হয়েছে।