ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

মুফতি হান্নানের ভাই মুন্সী ইকবাল রিমান্ডে

  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৃত্যুদ-ে দ-িত জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের ভাই মুন্সী ইকবাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মুন্সী ইকবালকে (৬২) গত শুক্রবার ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে পুলিশে তুলে দিয়েছিল র‌্যাব।
সাভার থানা পুলিশ গতকাল রোববার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে।তাকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এসআই মো. সাদরুজ জামান। রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা তিনি। কয়েক বছর আফগানিস্তানে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পলাতক ছিলেন। তদন্তের প্রয়োজনে অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তার ও তাদের নাম-ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত ও সঠিকভাবে তথ্য উদঘাটনের জন্য নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাজিব হাসান আসামি মুন্সী ইকবালকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। শুনানিতে ইকবালের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। মুন্সী ইকবাল নিষিদ্ধ আরেক সংগঠন আনসার আল ইসলামের কেন্দ্রীয় সংগঠকের দায়িত্বেও ছিলেন বলে র‌্যাবের দাবি।
তাকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের আপন ভাই ইকবাল আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশে এবং আফগানিস্তানে পলাতক থেকে প্রশিক্ষণসহ নতুন-নতুন কৌশল রপ্ত করেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস ও নাশকতা সংশ্লিষ্ট চারটি মামলা রয়েছে। হরকাতুল জিহাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ার পর ইকবাল আনসার আল ইসলামে যোগ দেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ইকবাল গোপালগঞ্জের একটি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে ঢাকার সাভার এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
বাংলাদেশে জঙ্গি আন্দোলনের প্রথম দিককার শীর্ষনেতা মুফতি হান্নানকে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার মামলায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায়ও তার মৃত্যুদ-ের রায় হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি আলোচিত বোমাহামলার হোতা হিসেবে তাকে ধরা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুফতি হান্নানের ভাই মুন্সী ইকবাল রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০১:৪১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৃত্যুদ-ে দ-িত জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের ভাই মুন্সী ইকবাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মুন্সী ইকবালকে (৬২) গত শুক্রবার ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে পুলিশে তুলে দিয়েছিল র‌্যাব।
সাভার থানা পুলিশ গতকাল রোববার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে।তাকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এসআই মো. সাদরুজ জামান। রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা তিনি। কয়েক বছর আফগানিস্তানে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পলাতক ছিলেন। তদন্তের প্রয়োজনে অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তার ও তাদের নাম-ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত ও সঠিকভাবে তথ্য উদঘাটনের জন্য নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাজিব হাসান আসামি মুন্সী ইকবালকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। শুনানিতে ইকবালের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। মুন্সী ইকবাল নিষিদ্ধ আরেক সংগঠন আনসার আল ইসলামের কেন্দ্রীয় সংগঠকের দায়িত্বেও ছিলেন বলে র‌্যাবের দাবি।
তাকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের আপন ভাই ইকবাল আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশে এবং আফগানিস্তানে পলাতক থেকে প্রশিক্ষণসহ নতুন-নতুন কৌশল রপ্ত করেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস ও নাশকতা সংশ্লিষ্ট চারটি মামলা রয়েছে। হরকাতুল জিহাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ার পর ইকবাল আনসার আল ইসলামে যোগ দেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ইকবাল গোপালগঞ্জের একটি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে ঢাকার সাভার এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
বাংলাদেশে জঙ্গি আন্দোলনের প্রথম দিককার শীর্ষনেতা মুফতি হান্নানকে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার মামলায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায়ও তার মৃত্যুদ-ের রায় হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি আলোচিত বোমাহামলার হোতা হিসেবে তাকে ধরা হয়।