ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

মুন্সি ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে চড়া দামে সার বিক্রির অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

আজকের প্রত্যাশা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: গড়পাড়া ইউনিয়নের মেসার্স মুন্সি ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বিভিন্ন উপজেলায় চড়া দামে সার বিক্রি করে আসছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মানিকগঞ্জ সদর জয়রা রোড এলাকা থেকে ২৬ বস্তা ডিএপি সার অবৈধভাবে বিক্রির সময় বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওইদিন খবির উদ্দিন জয়রা রোড এলাকা থেকে ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা আনোয়ারের কাছে ২৬ বস্তা ডিএপি সার অবৈধভাবে ভুয়া রসিদ বানিয়ে বিক্রি করেন। সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা তরা মুন্নু গেট সংলগ্ন স্থানে গেলে সারের বোঝাই গাড়িটি সেখানে এসে পৌঁছায়। আনোয়ার সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নিজের আপন ভাইকে কৃষক সাজিয়ে ক্রেতা হিসেবে উপস্থাপন করে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যায়।

আতোয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার খবির উদ্দিনের কাছ থেকে সারগুলো কিনেছেন এবং ঘিওর নিয়ে যাচ্ছেন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাসির মাহমুদকে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থল থেকে সারগুলো জব্দ করে মেসার্স মুন্সি ট্রেডার্সের মালিক খবির হোসেনকে ফেরত দেন এবং কৃষক আতোয়ার রহমানকে সার বাবদ প্রদত্ত টাকা ফেরত দেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কিছু অসাধু ডিলার কৃষি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রায় প্রতি বছরই অন্য উপজেলায় সার পাচার করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। পরে এসব সার চড়া দামে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়।

সচেতন মহল মনে করছেন, এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত মনিটরিং ও কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে সারের কৃত্রিম সংকট এবং কৃষকদের হয়রানি অনেকাংশে বন্ধ হবে।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম ভূঁইয়া বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট ডিলারকে ৫,০০০ টাকা জরিমানার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন জানান, আমরা মুন্সি ট্রেডার্সের প্রোঃ খবির হোসেনকে ২০১৬ সালের সার ব্যবস্থাপনা আইনের ১২ ধারায় ৫০০০ টাকা জরিমানা করেছি। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মুন্সি ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে চড়া দামে সার বিক্রির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: গড়পাড়া ইউনিয়নের মেসার্স মুন্সি ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বিভিন্ন উপজেলায় চড়া দামে সার বিক্রি করে আসছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মানিকগঞ্জ সদর জয়রা রোড এলাকা থেকে ২৬ বস্তা ডিএপি সার অবৈধভাবে বিক্রির সময় বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওইদিন খবির উদ্দিন জয়রা রোড এলাকা থেকে ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা আনোয়ারের কাছে ২৬ বস্তা ডিএপি সার অবৈধভাবে ভুয়া রসিদ বানিয়ে বিক্রি করেন। সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা তরা মুন্নু গেট সংলগ্ন স্থানে গেলে সারের বোঝাই গাড়িটি সেখানে এসে পৌঁছায়। আনোয়ার সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নিজের আপন ভাইকে কৃষক সাজিয়ে ক্রেতা হিসেবে উপস্থাপন করে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যায়।

আতোয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার খবির উদ্দিনের কাছ থেকে সারগুলো কিনেছেন এবং ঘিওর নিয়ে যাচ্ছেন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাসির মাহমুদকে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থল থেকে সারগুলো জব্দ করে মেসার্স মুন্সি ট্রেডার্সের মালিক খবির হোসেনকে ফেরত দেন এবং কৃষক আতোয়ার রহমানকে সার বাবদ প্রদত্ত টাকা ফেরত দেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কিছু অসাধু ডিলার কৃষি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রায় প্রতি বছরই অন্য উপজেলায় সার পাচার করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। পরে এসব সার চড়া দামে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়।

সচেতন মহল মনে করছেন, এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত মনিটরিং ও কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে সারের কৃত্রিম সংকট এবং কৃষকদের হয়রানি অনেকাংশে বন্ধ হবে।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম ভূঁইয়া বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট ডিলারকে ৫,০০০ টাকা জরিমানার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন জানান, আমরা মুন্সি ট্রেডার্সের প্রোঃ খবির হোসেনকে ২০১৬ সালের সার ব্যবস্থাপনা আইনের ১২ ধারায় ৫০০০ টাকা জরিমানা করেছি। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ