ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

মুনিয়ার মৃত্যু মামলায় আনভীরকে বাদ দিয়ে দেওয়া প্রতিবেদনে নারাজি

  • আপডেট সময় : ০২:০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুতে তার বোনের করা হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতির সুপারিশ রেখে যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই, তা প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি আবেদন জমা পড়েছে। মুনিয়ার বড় বোন, মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া গতকাল রোববার এই নারাজি আবেদন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ জমা দেন। আবেদনে বাদী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের পক্ষ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) তদন্ত সঠিকভাবে করেননি। নুসরাতের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানে নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তার বোন নুসরাত কুমিল্লা থেকে এসে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১৯ জুলাই সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান ঢাকার হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন, তাতে তিনি আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। এরপর ওই বছরের ১৮ অগাস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী থানা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর নুসরাত একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন। এই মামলায় আনভীরের সঙ্গে তার বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলমকেও আসামি করা হয়। আরও আসামি করা হয় আনভীরের মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল সাইফা রহমান মিম, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে আসামি করা হয়। হত্যামামলার তদ্ন্ত করে গত ১৮ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন। তাতে বলা হয়, আনভীরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা আনভীরসহ অন্যদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন আদালতের কাছে। আদালতে এর নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই নারাজি প্রতিবেদন দিলেন মুনিয়ার বোন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুনিয়ার মৃত্যু মামলায় আনভীরকে বাদ দিয়ে দেওয়া প্রতিবেদনে নারাজি

আপডেট সময় : ০২:০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুতে তার বোনের করা হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতির সুপারিশ রেখে যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই, তা প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি আবেদন জমা পড়েছে। মুনিয়ার বড় বোন, মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া গতকাল রোববার এই নারাজি আবেদন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ জমা দেন। আবেদনে বাদী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের পক্ষ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) তদন্ত সঠিকভাবে করেননি। নুসরাতের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানে নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তার বোন নুসরাত কুমিল্লা থেকে এসে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১৯ জুলাই সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান ঢাকার হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন, তাতে তিনি আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। এরপর ওই বছরের ১৮ অগাস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী থানা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর নুসরাত একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন। এই মামলায় আনভীরের সঙ্গে তার বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলমকেও আসামি করা হয়। আরও আসামি করা হয় আনভীরের মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল সাইফা রহমান মিম, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে আসামি করা হয়। হত্যামামলার তদ্ন্ত করে গত ১৮ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন। তাতে বলা হয়, আনভীরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা আনভীরসহ অন্যদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন আদালতের কাছে। আদালতে এর নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই নারাজি প্রতিবেদন দিলেন মুনিয়ার বোন।