ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুদ্রানীতিতে অপরিবর্তিত থাকছে নীতি সুদহার

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। একইদিন সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে মুদ্রানীতি নিয়ে আলোচনা হবে।

বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায় বড় কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসা ও রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল থাকায় এমন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্তর্র্বতী সরকার অধীনে এবং বর্তমান গভর্নরের প্রথম মুদ্রানীতি এটি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনই সংকোচন থেকে সম্প্রসারণের নীতিতে যাবে না। গত বছরের ১৮ জুলাই চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় হার স্থিতিশীল করা এবং রিজার্ভ বাড়ানোকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়। ওই সময় সংবাদ সম্মেলন না করে কেবল ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতির ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়।

ব্যাংক খাতের নজিরবিহীন জালিয়াতির তথ্য আড়াল করতে তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। গত বছরের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পলাতক অবস্থায় একই বছরের ৯ আগস্ট অজ্ঞাত স্থান থেকে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান সাবেক এ আমলা। এরপর অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদী ধারে ব্যবহৃত রোপোর সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তিন দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

যার প্রভাব পড়ে সুদহারে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বেড়ে এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ হিসাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসায় আপাতত নীতি সুদহার বাড়ানো হবে না। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বিবেচনায় সুদহার না বাড়িয়ে বরং সুদহার কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রথম ছয় মাসে অর্থনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারাবাহিক যে অবনতি হচ্ছিল, তা ঠেকানো গেছে। বিশেষ করে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে না। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দীর্ঘদিন ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল আছে। বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে। ডলারের দরও ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় স্থিতিশীল আছে। গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বর শেষে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস, মঙ্গলবারও অবস্থান

মুদ্রানীতিতে অপরিবর্তিত থাকছে নীতি সুদহার

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। একইদিন সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে মুদ্রানীতি নিয়ে আলোচনা হবে।

বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায় বড় কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসা ও রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল থাকায় এমন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্তর্র্বতী সরকার অধীনে এবং বর্তমান গভর্নরের প্রথম মুদ্রানীতি এটি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনই সংকোচন থেকে সম্প্রসারণের নীতিতে যাবে না। গত বছরের ১৮ জুলাই চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় হার স্থিতিশীল করা এবং রিজার্ভ বাড়ানোকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়। ওই সময় সংবাদ সম্মেলন না করে কেবল ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতির ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়।

ব্যাংক খাতের নজিরবিহীন জালিয়াতির তথ্য আড়াল করতে তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। গত বছরের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পলাতক অবস্থায় একই বছরের ৯ আগস্ট অজ্ঞাত স্থান থেকে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান সাবেক এ আমলা। এরপর অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদী ধারে ব্যবহৃত রোপোর সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তিন দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

যার প্রভাব পড়ে সুদহারে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বেড়ে এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ হিসাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসায় আপাতত নীতি সুদহার বাড়ানো হবে না। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বিবেচনায় সুদহার না বাড়িয়ে বরং সুদহার কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রথম ছয় মাসে অর্থনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারাবাহিক যে অবনতি হচ্ছিল, তা ঠেকানো গেছে। বিশেষ করে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে না। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দীর্ঘদিন ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল আছে। বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে। ডলারের দরও ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় স্থিতিশীল আছে। গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বর শেষে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।