ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

মুখ্যসচিবের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় যা জানালো টিআইবি

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘টিকা কেনাকাটায় দুর্নীতি এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের যে বক্তব্য রোববার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়, বরং বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য ও ধারণাভিত্তিক।’
গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এসব তথ্য জানিয়েছে। টিআইবি জানায়, আহমদ কায়কাউস তার বক্তব্যে টিআইবিকে উদ্ধৃত করে কোভিড-১৯ টিকা কেনায় গড়ে ৬৯ টাকা ঘুস দেওয়ার যে বিষয় অবতারণা করেছেন সেটি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। কেননা ১২ এপ্রিল টিআইবি প্রকাশিত ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে ৬৯ টাকা ঘুস দেওয়ার বিষয়টি এসেছে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহীতাদের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলে। যা কোনোভাবেই টিকা কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখানে উল্লেখ্য, গবেষণার অংশ হিসেবে ৩ হাজার ৩৯৩ জন টিকাগ্রহীতার দৈবচয়নের ভিত্তিতে ‘এক্সিট-পোল’ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ২ শতাংশ টিকাগ্রহীতা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হন যার মধ্যে সময়ক্ষেপণ, টিকা কেন্দ্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার এবং কিছু কেন্দ্রে টিকা থাকা সত্ত্বেও টিকাগ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেওয়া অন্যতম। এদের মধ্যে আবার অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে দ্রুত টিকা পেতে ১০.১ শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে গড়ে ৬৯ টাকা ঘুস হিসেবে দিতে হয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এটি কোনোভাবেই টিকা কেনায় কথিত ঘুস দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
‘মুখ্যসচিব মহোদয় টিআইবির অর্থায়ন নিয়েও ভুল তথ্য বা ধারণার ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ান মাইনিং কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে ফেলেছেন। টিআইবি কখনই বিএইচপির কাছ থেকে কোনো ধরনের তহবিল গ্রহণ করেনি এবং করার প্রশ্নও আসেনি। বিএইচপির সঙ্গে টিআইবির কখনো কোনোভাবেই পরিচিতি বা যোগাযোগও হয়নি। টিআইবিকে মূলত অর্থায়ন করে আসছে ব্রিটিশ ফরেইন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও), সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সি (সিডা) এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি)। এ সংক্রান্ত মব তথ্য টিআইবির ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রয়েছে।’
টিআইবি আরও জানায়, অর্থায়ন ও উল্লিখিত গবেষণা প্রতিবেদন বিষয়ে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে টিআইবি গবেষণা ও অর্থায়ন বিষয়ে সব ধরনের তথ্য বিনিময় ও অধিপরামর্শ কার্যক্রমে আগ্রহী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুখ্যসচিবের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় যা জানালো টিআইবি

আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘টিকা কেনাকাটায় দুর্নীতি এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের যে বক্তব্য রোববার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়, বরং বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য ও ধারণাভিত্তিক।’
গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এসব তথ্য জানিয়েছে। টিআইবি জানায়, আহমদ কায়কাউস তার বক্তব্যে টিআইবিকে উদ্ধৃত করে কোভিড-১৯ টিকা কেনায় গড়ে ৬৯ টাকা ঘুস দেওয়ার যে বিষয় অবতারণা করেছেন সেটি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। কেননা ১২ এপ্রিল টিআইবি প্রকাশিত ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে ৬৯ টাকা ঘুস দেওয়ার বিষয়টি এসেছে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহীতাদের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলে। যা কোনোভাবেই টিকা কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখানে উল্লেখ্য, গবেষণার অংশ হিসেবে ৩ হাজার ৩৯৩ জন টিকাগ্রহীতার দৈবচয়নের ভিত্তিতে ‘এক্সিট-পোল’ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ২ শতাংশ টিকাগ্রহীতা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হন যার মধ্যে সময়ক্ষেপণ, টিকা কেন্দ্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার এবং কিছু কেন্দ্রে টিকা থাকা সত্ত্বেও টিকাগ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেওয়া অন্যতম। এদের মধ্যে আবার অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে দ্রুত টিকা পেতে ১০.১ শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে গড়ে ৬৯ টাকা ঘুস হিসেবে দিতে হয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এটি কোনোভাবেই টিকা কেনায় কথিত ঘুস দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
‘মুখ্যসচিব মহোদয় টিআইবির অর্থায়ন নিয়েও ভুল তথ্য বা ধারণার ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ান মাইনিং কোম্পানি বিএইচপির নাম জড়িয়ে ফেলেছেন। টিআইবি কখনই বিএইচপির কাছ থেকে কোনো ধরনের তহবিল গ্রহণ করেনি এবং করার প্রশ্নও আসেনি। বিএইচপির সঙ্গে টিআইবির কখনো কোনোভাবেই পরিচিতি বা যোগাযোগও হয়নি। টিআইবিকে মূলত অর্থায়ন করে আসছে ব্রিটিশ ফরেইন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও), সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সি (সিডা) এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি)। এ সংক্রান্ত মব তথ্য টিআইবির ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রয়েছে।’
টিআইবি আরও জানায়, অর্থায়ন ও উল্লিখিত গবেষণা প্রতিবেদন বিষয়ে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে টিআইবি গবেষণা ও অর্থায়ন বিষয়ে সব ধরনের তথ্য বিনিময় ও অধিপরামর্শ কার্যক্রমে আগ্রহী।