ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন ওসমানী।

১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সিলেটে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন ওসমানী।

১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সিলেটে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।