ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরেছেন তিন কৃষক

  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণের শিকার হওয়া তিন জন স্থানীয় কৃষক তিন রাত জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দিয়েছে।

ব্যক্তিরা হলেন- ওই ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকার মো. আব্দুল্লাহর ছেলে মো. আলী (৩২), আবুল মনজুরের ছেলে রহমত উল্লাহ (১৬) এবং আব্দুস সালামের ছেলে সুলতান আহমদ (৩৪)।

গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে কৃষক মো. আলীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। দুপুরে ক্ষেত-খামারে যাওয়ার সময় রহমত উল্লাহ এবং পানের বরজে কাজ করার সময় সুলতান আহমদকে একই কায়দায় অপহরণ করে চক্রটি।

অপহরণের পর তাদের তিন জনকে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের পাশাপাশি মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অবশেষে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পর তারা অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

ভুক্তভোগী মো. আলীর স্বজন ইমাম হোসেন বলেন, ‘তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনিসহ স্থানীয় আরো কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে টেকনাফে অপহরণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর আগেও অনেক ভুক্তভোগী মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।’ তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হবে না।’ তাই দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘অপহরণ হওয়া তিন কৃষক বাড়ি ফেরার খবর পেয়েছি।’

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২৬৩ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশকে মুক্তিপণ দিয়েই ফিরতে হয়েছে।

এসি/আপ্র/০৮/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরেছেন তিন কৃষক

আপডেট সময় : ০৩:২৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণের শিকার হওয়া তিন জন স্থানীয় কৃষক তিন রাত জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দিয়েছে।

ব্যক্তিরা হলেন- ওই ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকার মো. আব্দুল্লাহর ছেলে মো. আলী (৩২), আবুল মনজুরের ছেলে রহমত উল্লাহ (১৬) এবং আব্দুস সালামের ছেলে সুলতান আহমদ (৩৪)।

গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে কৃষক মো. আলীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। দুপুরে ক্ষেত-খামারে যাওয়ার সময় রহমত উল্লাহ এবং পানের বরজে কাজ করার সময় সুলতান আহমদকে একই কায়দায় অপহরণ করে চক্রটি।

অপহরণের পর তাদের তিন জনকে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের পাশাপাশি মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অবশেষে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পর তারা অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

ভুক্তভোগী মো. আলীর স্বজন ইমাম হোসেন বলেন, ‘তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনিসহ স্থানীয় আরো কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে টেকনাফে অপহরণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর আগেও অনেক ভুক্তভোগী মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।’ তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হবে না।’ তাই দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘অপহরণ হওয়া তিন কৃষক বাড়ি ফেরার খবর পেয়েছি।’

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২৬৩ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশকে মুক্তিপণ দিয়েই ফিরতে হয়েছে।

এসি/আপ্র/০৮/০৯/২০২৫