সুলতান আল এনাম, ঝিনাইদহ: নিখোঁজের ৭ দিন পর সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া রফিকুল ইসলাম রুবেলের চার খুনিকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশ। সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রাম থেকে ১৮ জানুয়ারি রুবেলের লাশ উদ্ধারসহ একই গ্রামের মিন্টুর ছেলে সাগরকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ওই গ্রামের সোলাইমানের ছেলে শাহিন, শহিদুলের ছেলে টুটুল ও ইছাহাকের ছেলে টগরকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, নেশার টাকা জোগাড় করতে রুবেলকে অপহরণ করে আসামিরা। এরপর একটি পরিত্যক্ত ঘরে মুখ বেঁধে রাখলে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। তার লাশ গুম করার জন্য ওই গ্রামের একটি সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। গ্রেফতারকৃতরা বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য দেয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সাগর হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাতে নরসিংদি জেলার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামী টগরকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এ অভিযানে এসআই খালিদ হাসান, এসআই হাফিজুর রহমান, এসআই আনিছুর রহমান ও এএসআই ইকলাছুর রহমান নেতৃত্ব দেন।
নিহত রুবেলের ফুপু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার লাকি জানান, শুনছি নেশার টাকার জন্য তার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার বাদী নিহতের ভাই আশিকুর রহমান মিঠুন জানান, মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই নেশাগ্রস্ত ও এলাকায় চুরিদারির সঙ্গে জড়িত। তারাই তার ভাইকে নেশার টাকার জন্য হত্যা করেছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইমরান জাকারিয়া জানান, আসামীরা সবাই মাদকাশক্ত। ভিটকিম রুবেলের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নেওয়ার জন্য আসামিরা একত্রে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক রুবেলকে গত ১১ জানুয়ারি অপহরণ করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে আসামি শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ফেলে রাখে। মুক্তিপণের টাকা দাবির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আসামিরা সম্মিলিতভাবে ভিকটিম রুবেলকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য আসামি শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনের সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখে। আসামিদের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক সাইবার টিম সংশ্লিষ্ট সকল আলামত উদ্ধার করেছে বলেও তিনি জানান।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ