ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

‘মুক্তিই’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা : জাফরুল্লাহ

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এজন্য তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন। মুক্তিই এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার বড় চিকিৎসা বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
গতকাল শুক্রবার করোনা পরিস্থিতির সংকটকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি-২০২১ এর আওতায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণের সময় জাফরুল্লাহ এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। উনার চিকিৎসা হলো মুক্তি। মুক্তি দিলে উনি কোথায় চিকিৎসা করবে সেটা উনার স্বাধীনতা। আমাদের অতীতের প্রতিহিংসা, ভুল স্মরণ না রেখে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানসিক শক্তি না থাকলে সুস্থ হওয়া যায় না। সেই জন্য আমি আহ্বান করছি ছাত্রদের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেয়া হোক। উনার কিছু হয়ে গেলে পরে আক্ষেপ করতে হবে।’
দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা। করোনা পরিস্থিতি খারাপ, মানুষের মুখে খাবার নেই। এর সাথে যোগ হয়েছে সরকারের ভুল নীতি। গণপরিবহন চলছে না, অথচ প্রাইভেট গাড়ি চলছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মানুষের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় ১৫ দিনের খাবার আছে। লোক দেখানো দান করে লাভ নাই। ধনাঢ্যদের পাশাপাশি আমাদের কর্মীরাও একদিনের বেতন ডোনেট করেছে।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি-২০২১’ এর আওতায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দুঃস্থ গৃহকর্মী, অসহায় হকার-শ্রমিক, মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ কর্মহীন সাংবাদিকদের মধ্যে মোট ৮২০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ২৪ কেজি ওজনের প্যাকেটে একটি মাঝারি পরিবারের ১৫ দিন চলার মতো খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। ঈদের আগে আরও ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। শুক্রবার ঢাকা শহরের ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, তোপখানা রোড, হাজারীবাগ ও বাড্ডা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

‘মুক্তিই’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা : জাফরুল্লাহ

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এজন্য তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন। মুক্তিই এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার বড় চিকিৎসা বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
গতকাল শুক্রবার করোনা পরিস্থিতির সংকটকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি-২০২১ এর আওতায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণের সময় জাফরুল্লাহ এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। উনার চিকিৎসা হলো মুক্তি। মুক্তি দিলে উনি কোথায় চিকিৎসা করবে সেটা উনার স্বাধীনতা। আমাদের অতীতের প্রতিহিংসা, ভুল স্মরণ না রেখে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানসিক শক্তি না থাকলে সুস্থ হওয়া যায় না। সেই জন্য আমি আহ্বান করছি ছাত্রদের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেয়া হোক। উনার কিছু হয়ে গেলে পরে আক্ষেপ করতে হবে।’
দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা। করোনা পরিস্থিতি খারাপ, মানুষের মুখে খাবার নেই। এর সাথে যোগ হয়েছে সরকারের ভুল নীতি। গণপরিবহন চলছে না, অথচ প্রাইভেট গাড়ি চলছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মানুষের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় ১৫ দিনের খাবার আছে। লোক দেখানো দান করে লাভ নাই। ধনাঢ্যদের পাশাপাশি আমাদের কর্মীরাও একদিনের বেতন ডোনেট করেছে।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি-২০২১’ এর আওতায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দুঃস্থ গৃহকর্মী, অসহায় হকার-শ্রমিক, মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ কর্মহীন সাংবাদিকদের মধ্যে মোট ৮২০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ২৪ কেজি ওজনের প্যাকেটে একটি মাঝারি পরিবারের ১৫ দিন চলার মতো খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। ঈদের আগে আরও ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। শুক্রবার ঢাকা শহরের ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, তোপখানা রোড, হাজারীবাগ ও বাড্ডা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা।