নিজস্ব প্রতিবেদক : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুল হত্যা মামলায় মৃত্যুদ- পাওয়া মলম পার্টির মোসারফ হোসেন ও লিটন মল্লিকের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদ-ের বিরুদ্ধে ওই দুজনের আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রায় দেয়। এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মুক্তার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের কোনো আবেদন না থাকায় এবিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও এবিএম বায়েজীদ আসামিপক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিমানবন্দর সড়কের (আর্মি স্টেডিয়াম) পাশের এলাকা থেকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুলকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ গুলশান থানায় মামলা করে। কয়েকদিন পর পুলিশ আলালকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোসারফকে ওই বছরের ২ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চারজনই রাহাত করিমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তদন্ত শেষে ৫ আসামির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ ‘মলম পার্টির’ সদস্য মোসারফ হোসেন ও লিটন মল্লিককে মৃত্যুদ- ও মুক্তার হোসেন, জাহাঙ্গীর ও অটোরিকশাচালক আলালকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়। এর পর আসামি লিটন মল্লিক আত্মসমর্পণ করে নি¤œ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স ও কারাবন্দি আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাই কোর্ট ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি আলালকে খালাস দিয়ে বাকি চারজনের সাজা বহাল রেখে রায় দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোসারফ ও লিটন। সে আপিলের শুনানির পরই রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত।
মুকুল হত্যার ফাঁসির আসামি ‘মলম পার্টির’ দুজনের সাজা কমে যাবজ্জীবন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ