ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

মুকুটহীন নবাব ও নির্মাতা সোহানের মৃত্যুবার্ষিকী গেল নীরবে

  • আপডেট সময় : ০১:১৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মহান অধিপতি, তোমার শেষ উপদেশ আমি ভুলিনি জনাব। তুমি বলেছিলে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের প্রশ্রয় দিও না, তুমি বলেছিলে সুযোগ পেলেই তারা এ দেশ কেড়ে নেবে, আমি তাদের প্রশ্রয় দেব না’Ñ গলা কাঁপিয়ে বলিষ্ঠ এই উচ্চারণ শুনলেই মানসপটে ভেসে ওঠে আনোয়ার হোসেনের মুখচ্ছবি। নবাবের সেই সংলাপ ভুলে না গেলেও ক’জন মনে রেখেছেন বাংলা সিনেমার দিকপাল এই অভিনেতাকে। গতকাল শুক্রবার ছিল বাংলার মুকুটহীন নবাব আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাকে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে এফডিসিতেও ছিল না কোনো স্মরণ অনুষ্ঠান।
১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা। নায়ক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের শেষ সিনেমা ‘সূর্য সংগ্রাম’। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি।
আনোয়ার হোসেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘বন্ধন’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘রংবাজ’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘রুপালী সৈকতে’, ‘নয়নমণি’, ‘নাগর দোলা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’ প্রভৃতি।
অন্যদিকে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে গতবছর মারা যান ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল শুক্রবার। বহু সফল চলচ্চিত্রের এই নির্মাতা চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে। পরে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সোহানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। ১৯৮৮ সালে সেই সিনেমা মুক্তি পায়। তবে পরিচালক হিসেবে তিনি সাফল্য পান ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে। এছাড়া ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বজন’, ‘স্বামী ছিনতাই’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’, ‘দ্য স্পিড’ ও ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মুকুটহীন নবাব ও নির্মাতা সোহানের মৃত্যুবার্ষিকী গেল নীরবে

আপডেট সময় : ০১:১৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মহান অধিপতি, তোমার শেষ উপদেশ আমি ভুলিনি জনাব। তুমি বলেছিলে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের প্রশ্রয় দিও না, তুমি বলেছিলে সুযোগ পেলেই তারা এ দেশ কেড়ে নেবে, আমি তাদের প্রশ্রয় দেব না’Ñ গলা কাঁপিয়ে বলিষ্ঠ এই উচ্চারণ শুনলেই মানসপটে ভেসে ওঠে আনোয়ার হোসেনের মুখচ্ছবি। নবাবের সেই সংলাপ ভুলে না গেলেও ক’জন মনে রেখেছেন বাংলা সিনেমার দিকপাল এই অভিনেতাকে। গতকাল শুক্রবার ছিল বাংলার মুকুটহীন নবাব আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাকে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে এফডিসিতেও ছিল না কোনো স্মরণ অনুষ্ঠান।
১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা। নায়ক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের শেষ সিনেমা ‘সূর্য সংগ্রাম’। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি।
আনোয়ার হোসেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘বন্ধন’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘রংবাজ’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘রুপালী সৈকতে’, ‘নয়নমণি’, ‘নাগর দোলা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’ প্রভৃতি।
অন্যদিকে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে গতবছর মারা যান ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল শুক্রবার। বহু সফল চলচ্চিত্রের এই নির্মাতা চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে। পরে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সোহানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। ১৯৮৮ সালে সেই সিনেমা মুক্তি পায়। তবে পরিচালক হিসেবে তিনি সাফল্য পান ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে। এছাড়া ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বজন’, ‘স্বামী ছিনতাই’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’, ‘দ্য স্পিড’ ও ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ