ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

মিয়ামির ভবনধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮

  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকায় ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮। ভবনটি ধসের পর এর বাকি অংশ বিস্ফোরকের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সর্বশেষ চারজনের মরদেহ। এদিকে দুর্ঘটনার ১১ দিন পর এখনো নিখোঁজ ১১৭ জন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বশেষ মরদেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয়। সেদিন সকাল থেকে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় ধ্বংসস্তূপ থেকে। এর আগে গত রোববার রাত ১০টার দিকে বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবনের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। মৌসুমি ঝড় আঘাত হানতে পারে—এমন ঝুঁকি থেকে ভবনের বাকি অংশটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুন ১২ তলা ওই ভবন ধসে যায়। ওই সময় ভবনটির বাসিন্দাদের বেশির ভাগ ঘুমাচ্ছিলেন। ভবনধসের কারণ এখনো অজানা। ওই ভবন ধসে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে জীবিত কাউকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ধসে যাওয়া ওই ভবনের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা। ভবনটির মূল নকশায় ত্রুটি ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ত্রুটির কারণে ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে ওই ভবনের অবকাঠামোসংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়, ভবনের পার্কিংয়ে ফাটল রয়েছে। এ ছাড়া ভবনের পুলের নিচের স্ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। আর ভবনের ছাদ সংস্কারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সম্প্রতি।
১৯৮০ সালে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। প্রথমে এর অর্ধেক ইউনিট ধসে যায়। এরপর রোববার রাতে বাকি ইউনিটগুলো ভেঙে ফেলা হলো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ামির ভবনধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকায় ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮। ভবনটি ধসের পর এর বাকি অংশ বিস্ফোরকের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সর্বশেষ চারজনের মরদেহ। এদিকে দুর্ঘটনার ১১ দিন পর এখনো নিখোঁজ ১১৭ জন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বশেষ মরদেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয়। সেদিন সকাল থেকে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় ধ্বংসস্তূপ থেকে। এর আগে গত রোববার রাত ১০টার দিকে বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবনের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। মৌসুমি ঝড় আঘাত হানতে পারে—এমন ঝুঁকি থেকে ভবনের বাকি অংশটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুন ১২ তলা ওই ভবন ধসে যায়। ওই সময় ভবনটির বাসিন্দাদের বেশির ভাগ ঘুমাচ্ছিলেন। ভবনধসের কারণ এখনো অজানা। ওই ভবন ধসে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে জীবিত কাউকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ধসে যাওয়া ওই ভবনের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা। ভবনটির মূল নকশায় ত্রুটি ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ত্রুটির কারণে ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে ওই ভবনের অবকাঠামোসংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়, ভবনের পার্কিংয়ে ফাটল রয়েছে। এ ছাড়া ভবনের পুলের নিচের স্ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। আর ভবনের ছাদ সংস্কারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সম্প্রতি।
১৯৮০ সালে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। প্রথমে এর অর্ধেক ইউনিট ধসে যায়। এরপর রোববার রাতে বাকি ইউনিটগুলো ভেঙে ফেলা হলো।