ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারে ১৮ চিকিৎসা কর্মী গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কথিত ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর’ সদস্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ায় ১৮ জন চিকিৎসা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর কথা উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার গতকাল বুধবার এ খবর দিয়েছে।
গত সোমবার পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের লোইকাও শহরের একটি গির্জায় অভিযান চালিয়ে সৈন্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানকালে সৈন্যরা দেখতে পায়, সেখানে সাত জন কোভিড-১৯ আক্রান্তসহ ৪৮ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
“জানা গেছে সেখানে অনুমোদনহীনভাবে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর রোগী ও আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল,” সামরিক জান্তার মুখপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে সংগঠনগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ১৮ জন চিকিৎসা কর্মীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গির্জাটি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চার চিকিৎসক, চার নার্স ও ১০ সহযোগী নার্সের বিরুদ্ধে আগেও কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করার মাধ্যমে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার পর্যায়ে রয়েছে।
সামরিক শাসনের প্রতিবাদে দেশটির বহু চিকিৎসা কর্মী আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। তারা সামরিক বাহিনী পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে কাজ করতে অস্বীকার করেছে। বহু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও কর্মীরা নিরাপত্তা বাহিনীর লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করেছে। সামরিক বাহিনী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যুত্থান পরবর্তী ঘটনাগুলো অনুসরণ করা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো প্রায় এক হাজার ৩০০ জনকে হত্যা ও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।
এএপিপিকে পক্ষপাতদুষ্ট অভিহিত করে তাদের দেওয়া তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে গত সপ্তাহে সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমারে ১৮ চিকিৎসা কর্মী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১০:৫৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কথিত ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর’ সদস্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ায় ১৮ জন চিকিৎসা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর কথা উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার গতকাল বুধবার এ খবর দিয়েছে।
গত সোমবার পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের লোইকাও শহরের একটি গির্জায় অভিযান চালিয়ে সৈন্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানকালে সৈন্যরা দেখতে পায়, সেখানে সাত জন কোভিড-১৯ আক্রান্তসহ ৪৮ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
“জানা গেছে সেখানে অনুমোদনহীনভাবে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর রোগী ও আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল,” সামরিক জান্তার মুখপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে সংগঠনগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ১৮ জন চিকিৎসা কর্মীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গির্জাটি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চার চিকিৎসক, চার নার্স ও ১০ সহযোগী নার্সের বিরুদ্ধে আগেও কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করার মাধ্যমে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার পর্যায়ে রয়েছে।
সামরিক শাসনের প্রতিবাদে দেশটির বহু চিকিৎসা কর্মী আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। তারা সামরিক বাহিনী পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে কাজ করতে অস্বীকার করেছে। বহু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও কর্মীরা নিরাপত্তা বাহিনীর লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করেছে। সামরিক বাহিনী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যুত্থান পরবর্তী ঘটনাগুলো অনুসরণ করা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো প্রায় এক হাজার ৩০০ জনকে হত্যা ও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।
এএপিপিকে পক্ষপাতদুষ্ট অভিহিত করে তাদের দেওয়া তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে গত সপ্তাহে সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।