ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিয়ানমারে মানবাধিকার বিপর্যয়: জাতিসংঘ

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি বলেছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে মানবাধিকার বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক সংঘাত বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে ব্যাচেলেট আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক জরুরি অবস্থা এড়াতে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যাচেলেট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মাত্র চার মাসের বেশি কিছু সময়ে মিয়ানমার নাজুক গণতান্ত্রিক দেশ থেকে মানবাধিকার বিপর্যয়ের মুখে চলে গেছে।’ মিয়ানমারের এই সমস্যা সৃষ্টির জন্য তিনি সামরিক নেতৃত্বকে এককভাবে দায়ী করেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তারা সু চির সরকার উৎখাত করে তিনিসহ তাঁর দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে। পরে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভ মোকাবিলার উপায় নিয়ে তারা শুরুর দিকে দ্বিধায় ছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে তারা বলপ্রয়োগের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। মিয়ানমারের জান্তার হাতে এখন পর্যন্ত আট শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৮৬০ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে দেশটির যেসব মফস্বল এলাকায় পুলিশের হাতে নিহতের সংখ্যা বেশি, সেখানে লড়াই চলছে। কিছু এলাকায় লোকজন সুরক্ষা বাহিনী গঠন করেছে।
ব্যাচেলেট মিয়ানমারের কিছু অঞ্চলে তীব্র লড়াইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে কায়া, চিন ও কাচিন রাজ্য। যেসব এলাকায় জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বেশি, সেখানে সহিংসতা বেশি দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ব্যাচেলেট। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ভারী যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করছে। এ ধরনের সহিংসতা রোধে কোনো প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না, বরং এসব এলাকায় আরও বেশি সেনা সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমারে মানবাধিকার বিপর্যয়: জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১২:০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি বলেছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে মানবাধিকার বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক সংঘাত বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে ব্যাচেলেট আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক জরুরি অবস্থা এড়াতে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যাচেলেট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মাত্র চার মাসের বেশি কিছু সময়ে মিয়ানমার নাজুক গণতান্ত্রিক দেশ থেকে মানবাধিকার বিপর্যয়ের মুখে চলে গেছে।’ মিয়ানমারের এই সমস্যা সৃষ্টির জন্য তিনি সামরিক নেতৃত্বকে এককভাবে দায়ী করেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তারা সু চির সরকার উৎখাত করে তিনিসহ তাঁর দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে। পরে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভ মোকাবিলার উপায় নিয়ে তারা শুরুর দিকে দ্বিধায় ছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে তারা বলপ্রয়োগের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। মিয়ানমারের জান্তার হাতে এখন পর্যন্ত আট শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৮৬০ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে দেশটির যেসব মফস্বল এলাকায় পুলিশের হাতে নিহতের সংখ্যা বেশি, সেখানে লড়াই চলছে। কিছু এলাকায় লোকজন সুরক্ষা বাহিনী গঠন করেছে।
ব্যাচেলেট মিয়ানমারের কিছু অঞ্চলে তীব্র লড়াইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে কায়া, চিন ও কাচিন রাজ্য। যেসব এলাকায় জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বেশি, সেখানে সহিংসতা বেশি দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ব্যাচেলেট। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ভারী যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করছে। এ ধরনের সহিংসতা রোধে কোনো প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না, বরং এসব এলাকায় আরও বেশি সেনা সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।