আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের একটি খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৭০ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভূমিধসের পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কবলে পড়া বেশির ভাগ মানুষ অবৈধভাবে সেখানে রতেœর খোঁজ করছিলেন।
বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে দেশটির কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত এলাকার ওই রতœখনিতে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্বের রতœপাথরের সবচেয়ে বড় উৎস হলো মিয়ানমার। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটির বিভিন্ন খনিতে একাধিকবার প্রাণঘাতী ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
খনি থেকে লরিতে করে নিয়ে যাওয়ার পর স্তূপ করে রাখা বর্জ্য পরিমাণে বেশি হয়ে যাওয়ায় সেগুলো ধসে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের হপাকান্ত এলাকায় খনি খননের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা নিষেধাজ্ঞা মানেন না। কর্মসংস্থানের অভাব ও আর্থিক দুরবস্থার কারণে মূলত বাধ্য হয়ে এসব লোক এ কাজ করেন। এ ছাড়া করোনা মহামারিতে তাঁদের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
কয়েক দিন আগে এই হপাকান্তে অন্য একটি রতœখনিতে ভূমিধসের ঘটনায় স্থানীয় এমন অন্তত ১০ জন আনাড়ি খনিশ্রমিক নিখোঁজ হয়েছিলেন।
২০২০ সালে হপাকান্তে স্তূপকৃত খনি বর্জ্য পাশের একটি হ্রদে ধসে পড়লে ১৬০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ছিলেন অভিবাসী।
মিয়ানমারের বছরে তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি রতœপাথরের বাণিজ্য হয় এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় রতœপাথরের খনি হপাকান্ত এলাকায় অবস্থিত।
মিয়ানমারে ভূমিধসে মৃত্যু ১, নিখোঁজ ৭০
ট্যাগস :
মিয়ানমারে ভূমিধসে মৃত্যু ১
জনপ্রিয় সংবাদ

























