ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৫৪

  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মিয়ানমারের আমরাপুরায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জুতা-স্যান্ডেলের স্তূপ দেখা গেছে -ছবি: রয়টার্স

প্রত্যাশা ডেস্ক: মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫৪ জনে। আহত হয়েছে ৪৮৫০ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২২০ জন। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মিয়ানমার সফররত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় মানবিক ও সাম্প্রদায়িক দলগুলোর ভূমিকায় প্রশংসা করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আমরাপুরায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর খাবার ও ত্রাণ সামগ্রীর অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। সামান্য কিছু খাবারের জন্য মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

সামরিক সরকারের নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং একটি বিরল বিদেশ সফর শেষে রাজধানী নেপিদোতে ফিরে এসেছেন। তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মিন অং হ্লাইং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ডিসেম্বর মাসে ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জান্তা সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, মোদি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে ভূমিকম্প-পরবর্তী যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী করার আহ্বান জানান এবং বলেন, নির্বাচন হতে হবে ‘সমন্বিত ও বিশ্বাসযোগ্য’। সমালোচকরা জান্তা সরকারের পরিকল্পিত এই নির্বাচনকে একটি প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছেন, যার মাধ্যমে সেনাবাহিনী কেবল তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।

২০২১ সালে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে সেনাবাহিনী মিয়ানমার পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দেশটির অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক পরিসেবাগুলো ভেঙে পড়েছে। ২৮ মার্চের ভূমিকম্প এই অবস্থাকে আরো জটিল করে তুলেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জনগণ মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তায় ভুগছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে, জান্তা সরকার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহে বাধা দিচ্ছে, বিশেষ করে সেসব এলাকা তাদের শাসনকে সমর্থন করে না। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, তারা জান্তা সরকারের ৫৩টি হামলার ঘটনা তদন্ত করছে, যার মধ্যে ১৬টি যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে বিমান হামলাও রয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৫৪

আপডেট সময় : ০৭:৪২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫৪ জনে। আহত হয়েছে ৪৮৫০ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২২০ জন। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মিয়ানমার সফররত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় মানবিক ও সাম্প্রদায়িক দলগুলোর ভূমিকায় প্রশংসা করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আমরাপুরায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর খাবার ও ত্রাণ সামগ্রীর অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। সামান্য কিছু খাবারের জন্য মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

সামরিক সরকারের নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং একটি বিরল বিদেশ সফর শেষে রাজধানী নেপিদোতে ফিরে এসেছেন। তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মিন অং হ্লাইং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ডিসেম্বর মাসে ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জান্তা সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, মোদি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে ভূমিকম্প-পরবর্তী যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী করার আহ্বান জানান এবং বলেন, নির্বাচন হতে হবে ‘সমন্বিত ও বিশ্বাসযোগ্য’। সমালোচকরা জান্তা সরকারের পরিকল্পিত এই নির্বাচনকে একটি প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছেন, যার মাধ্যমে সেনাবাহিনী কেবল তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।

২০২১ সালে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে সেনাবাহিনী মিয়ানমার পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দেশটির অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক পরিসেবাগুলো ভেঙে পড়েছে। ২৮ মার্চের ভূমিকম্প এই অবস্থাকে আরো জটিল করে তুলেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জনগণ মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তায় ভুগছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে, জান্তা সরকার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহে বাধা দিচ্ছে, বিশেষ করে সেসব এলাকা তাদের শাসনকে সমর্থন করে না। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, তারা জান্তা সরকারের ৫৩টি হামলার ঘটনা তদন্ত করছে, যার মধ্যে ১৬টি যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে বিমান হামলাও রয়েছে।