ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলে জাপানের প্রতি আহ্বান মানবাধিকার সংগঠনগুলোর

  • আপডেট সময় : ০১:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ইয়াংগনে কয়েক কোটি ডলারের একটি নির্মাণ প্রকল্প থেকে সরে আসতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
প্রকল্পটিতে মিয়ানমারের প্রতিরা মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনী লাভবান হবে, বলছে তারা। এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী দেশটিতে ব্যাপক দমনপীড়ন চালাচ্ছে। গত কয়েক মাসে সেখানে ৯০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স।
এরই প্রেেিত বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইয়াংগনের ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে জাপানকে অনুরোধ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যে প্রকল্প নিয়ে এই আহ্বান, তাতে মিয়ানমারের প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের জমিতে পুরনো একটি সামরিক জাদুঘরের স্থানে কয়েক কোটি ডলার খরচ করে পাঁচ তারকা হোটেল, বিলাসবহুল দোকান ও অফিস বানানোর কাজ চলছে।
এ প্রকল্পে জাপানের বেসরকারি বেশ কয়েকটি কোম্পানি এবং সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। ‘জাপানের জনগণের অর্থ সম্ভবত তাতমাদাওয়ের (মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী) হাতেই পৌঁছাচ্ছে বলে ধারণা করছি, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি,’ বলেছেন মেকং ওয়াচের প্রধান নির্বাহী ইয়ুকা কিগুচি।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ‘ওয়াই কমপ্লেক্স’ প্রকল্পে স্থানীয় অংশীদার ইয়াংগন টেকনিকাল অ্যান্ড ট্রেডিংয়ের (ওয়াইটিটি) মাধ্যমে জমির যে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, তাতে মিয়ানমারের প্রতিরা মন্ত্রণালয়ই উপকৃত হচ্ছে। আর মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির প্রতিরা মন্ত্রণালয় থাকে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
জাপানের সরকার এবং ইয়াংগনের প্রকল্পে থাকা কোম্পানিগুলো বলছে, জমির ভাড়া সামরিক বাহিনী নয় সরকারের কাছে পৌঁছায় বলে ধারণা ছিল তাদের। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আহ্বানের পর জাপানি কোম্পানিগুলো ইয়াংগনের ‘ওয়াই কমপ্লেক্স’ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে কিনা তাৎণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমারে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলে জাপানের প্রতি আহ্বান মানবাধিকার সংগঠনগুলোর

আপডেট সময় : ০১:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ইয়াংগনে কয়েক কোটি ডলারের একটি নির্মাণ প্রকল্প থেকে সরে আসতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
প্রকল্পটিতে মিয়ানমারের প্রতিরা মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনী লাভবান হবে, বলছে তারা। এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী দেশটিতে ব্যাপক দমনপীড়ন চালাচ্ছে। গত কয়েক মাসে সেখানে ৯০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স।
এরই প্রেেিত বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইয়াংগনের ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে জাপানকে অনুরোধ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যে প্রকল্প নিয়ে এই আহ্বান, তাতে মিয়ানমারের প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের জমিতে পুরনো একটি সামরিক জাদুঘরের স্থানে কয়েক কোটি ডলার খরচ করে পাঁচ তারকা হোটেল, বিলাসবহুল দোকান ও অফিস বানানোর কাজ চলছে।
এ প্রকল্পে জাপানের বেসরকারি বেশ কয়েকটি কোম্পানি এবং সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। ‘জাপানের জনগণের অর্থ সম্ভবত তাতমাদাওয়ের (মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী) হাতেই পৌঁছাচ্ছে বলে ধারণা করছি, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি,’ বলেছেন মেকং ওয়াচের প্রধান নির্বাহী ইয়ুকা কিগুচি।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ‘ওয়াই কমপ্লেক্স’ প্রকল্পে স্থানীয় অংশীদার ইয়াংগন টেকনিকাল অ্যান্ড ট্রেডিংয়ের (ওয়াইটিটি) মাধ্যমে জমির যে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, তাতে মিয়ানমারের প্রতিরা মন্ত্রণালয়ই উপকৃত হচ্ছে। আর মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির প্রতিরা মন্ত্রণালয় থাকে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
জাপানের সরকার এবং ইয়াংগনের প্রকল্পে থাকা কোম্পানিগুলো বলছে, জমির ভাড়া সামরিক বাহিনী নয় সরকারের কাছে পৌঁছায় বলে ধারণা ছিল তাদের। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আহ্বানের পর জাপানি কোম্পানিগুলো ইয়াংগনের ‘ওয়াই কমপ্লেক্স’ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে কিনা তাৎণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।