বিনোদন ডেস্ক: মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হল এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে; এই যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারও অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত বিজয়ী ছাড়াও প্রথম রানার-আপ সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা ও দ্বিতীয় রানার সোমাইয়া হারুন’কে পরিচয় করিয়ে দেন ‘ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এমটিসি)’র প্রতিষ্ঠাতা ও মিস ইন্টারন্যাশনালের ন্যাশনাল’য়ের পরিচালক আজরা মাহমুদ।
তিনি জানান, কঠোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার পর নির্বাচিত করা হয় শীর্ষ নয়জন প্রতিযোগী। তাদের এই যাত্রায় অংশ নেন- গ্রুমিং সেশন, ফটোশুট ও কনটেন্ট তৈরিতে।
এই পর্যায়গুলো এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যেন এর মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস আরও ভালোভাবে ফুটে ওঠে।
দ্বিতীয়বারের মতো মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় আছে শোকুবুতসু।
শীর্ষ নয়জন থেকে বিচার-বিশ্লেষণের পর নির্বাচিত হন তিন চূড়ান্ত বিজয়ী- জেসিয়া ইসলাম, সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা ও সোমাইয়া হারুন।
চূড়ান্ত পর্ব শেষে জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানো হয় এবারের মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫ হিসেবে। বাংলাদেশি পোশাক
জেসিয়া ইসলাম এবার বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন মিস ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায়, যা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ নভেম্বর টোকিও, জাপানে। সেখানে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।বাংলাদেশি পোশাক
সৌন্দর্যের বাইরেও, এ বছরের বিজয়ীরা তাঁদের সামাজিক প্রভাব ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস)-এর প্রতি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জেসিয়া ইসলাম মাদকাসক্ত পথশিশুদের পুনর্বাসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। অন্যদিকে, সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা ও সোমাইয়া হারুন দুজনেই সামাজিক প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন সমাজ-ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক সামাজিক প্রকল্পে যুক্ত আছেন।
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শুধু সৌন্দর্য ও প্রতিভা প্রদর্শনের মঞ্চ নয়; বরং সমাজে অর্থবহ অবদান রাখা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার অনুপ্রেরণা দিতে চেষ্টা করে।বাংলাদেশি পোশাক
ওআ/আপ্র/১৫/১০/২০২৫