ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

মিসবাহ-ওয়াকারের পদত্যাগে অবসর ভাঙলেন আমির

  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। এর পর থেকেই পাকিস্তানি পেসারের সঙ্গে প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসে। এর জেরে গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান আমির। মনস্থির করেছিলেন, এ দু’জনকে অব্যাহতি দেয়া হলে জাতীয় দলে ফিরবেন তিনি। কথা রাখলেন আমির। মিসবাহ-ওয়াকারের পদত্যাগের একদিনের মাথায় অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার কথা জানালেন তিনি।
সোমবার (০৬ই সেপ্টেম্বর) মানসিক অবসাদের কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়েন মিসবাহ। প্রধান কোচের সঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ওয়াকারও। এরপর স্থানীয় গণমাধ্যমকে আমির জানিয়েছেন, ‘আমি দলে ফেরার জন্য প্রস্তুত আছি।’ তখন জানান, শরীর তিন ফরমেটের ধকল নিতে পারছে না। সেসময় পাকিস্তানের সাবেকদের রোষানলে পড়েন তিনি। কঠোর সমালোচনা করেছিলেন কোচ মিসবাহ। হারান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিও। এর জেরেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন আমির। টেস্ট থেকে অবসরের বিষয়কে অনেকে ভুলভাবে নিয়েছিল বলে মত আমিরের। তিনি বলেছিলেন, ‘টেস্টে অবসর নেয়ায় অনেকেই বলেছেন আমি নাকি ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলার জন্যই টেস্টে আর খেলতে চাই না। অথচ আমি চেয়েছি সাদা বলে পাকিস্তান ক্রিকেটকে লম্বা সময় সাহায্য করতে।’
মিসবাহ-ওয়াকারের বিরূপ আচরণের কারণেই জাতীয় দল থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন তিনি। আমির বলেছিলেন, ‘এই ম্যানেজমেন্টের অধীনে ক্রিকেট খেলতে পারব বলে মনে হয় না। আমি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, আর নিতে পারছি না।’ ২০০৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় মোহাম্মদ আমিরের। দুর্দান্ত গতি আর সুইংয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের নজর কেড়ে নেয়া এই পেসার পরের বছর কুখ্যাত সেই লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং করে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরাটা ছিল রঙিন। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে বড় ভূমিকা আমিরের। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে জেতেন ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তানের হয়ে ৩৬ টেস্ট, ৬১ ওয়ানডে এবং ৫০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আমির। উইকেট শিকার করেন যথাক্রমে ১১৯, ৮১ এবং ৫৯টি। এছাড়া ব্যাট হাতে তিন ফরম্যাচে ১০৭৩ রান করেছেন আমির।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিসবাহ-ওয়াকারের পদত্যাগে অবসর ভাঙলেন আমির

আপডেট সময় : ১১:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। এর পর থেকেই পাকিস্তানি পেসারের সঙ্গে প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসে। এর জেরে গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান আমির। মনস্থির করেছিলেন, এ দু’জনকে অব্যাহতি দেয়া হলে জাতীয় দলে ফিরবেন তিনি। কথা রাখলেন আমির। মিসবাহ-ওয়াকারের পদত্যাগের একদিনের মাথায় অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার কথা জানালেন তিনি।
সোমবার (০৬ই সেপ্টেম্বর) মানসিক অবসাদের কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়েন মিসবাহ। প্রধান কোচের সঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ওয়াকারও। এরপর স্থানীয় গণমাধ্যমকে আমির জানিয়েছেন, ‘আমি দলে ফেরার জন্য প্রস্তুত আছি।’ তখন জানান, শরীর তিন ফরমেটের ধকল নিতে পারছে না। সেসময় পাকিস্তানের সাবেকদের রোষানলে পড়েন তিনি। কঠোর সমালোচনা করেছিলেন কোচ মিসবাহ। হারান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিও। এর জেরেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন আমির। টেস্ট থেকে অবসরের বিষয়কে অনেকে ভুলভাবে নিয়েছিল বলে মত আমিরের। তিনি বলেছিলেন, ‘টেস্টে অবসর নেয়ায় অনেকেই বলেছেন আমি নাকি ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলার জন্যই টেস্টে আর খেলতে চাই না। অথচ আমি চেয়েছি সাদা বলে পাকিস্তান ক্রিকেটকে লম্বা সময় সাহায্য করতে।’
মিসবাহ-ওয়াকারের বিরূপ আচরণের কারণেই জাতীয় দল থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন তিনি। আমির বলেছিলেন, ‘এই ম্যানেজমেন্টের অধীনে ক্রিকেট খেলতে পারব বলে মনে হয় না। আমি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, আর নিতে পারছি না।’ ২০০৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় মোহাম্মদ আমিরের। দুর্দান্ত গতি আর সুইংয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের নজর কেড়ে নেয়া এই পেসার পরের বছর কুখ্যাত সেই লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং করে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরাটা ছিল রঙিন। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে বড় ভূমিকা আমিরের। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে জেতেন ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তানের হয়ে ৩৬ টেস্ট, ৬১ ওয়ানডে এবং ৫০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আমির। উইকেট শিকার করেন যথাক্রমে ১১৯, ৮১ এবং ৫৯টি। এছাড়া ব্যাট হাতে তিন ফরম্যাচে ১০৭৩ রান করেছেন আমির।