ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

মিশরে সমাহিত আধ্যাত্মিক নেতা প্রিন্স করিম আগা খান

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: মৃত্যুর পাঁচ দিন পর বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা, বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা, দানবীর প্রিন্স করিম আগা খানকে মিশরের আসওয়ান শহরে দাফন করা হয়েছে।

প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম। তার দাতব্য সংস্থা আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর দেয়। ৮৮ বছর বয়সে পর্তুগালের লিসবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানায়, প্রিন্স করিমকে মিসরের আসওয়ানে তার দাদা আগা খান তৃতীয়ের সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়েছে। নতুন সমাধি নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত তার মৃতদেহ সেখানেই সমাহিত থাকবে। তার দাফন পুরোপুরি পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে পর্তুগালের লিসবনের ইসমাইলি সেন্টারে তার জানাজার সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা, ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দাফনে শুধু নির্বাচিত লোকজন ছিলেন। তবে বিশ্বজুড়ে প্রয়াত নেতার অনুসারীদের জন্য অনুষ্ঠানটি সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা আগা খান ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। ফ্রান্সের একটি প্রাসাদে তিনি বসবাস করতেন। পর্তুগালের লিসবনে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে চিরবিদায় নেন তিনি।

মঙ্গলবার লিসবনে প্রিন্স করিমের জন্য বিশেষ শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে তার পুত্র এবং পরবর্তী উত্তরাধিকারী প্রিন্স রহিম আল-হুসেইনি উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, ইসমাইলি মুসলমানদের বিশাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শোক পালন করে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।

আগা খানের দাতব্য সংস্থা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শত শত হাসপাতাল পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষা এবং সংস্কৃতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

পাকিস্তানে প্রায় পাঁচ লাখ ইসমাইলির বসবাস।এছাড়া ভারত, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মিশরে সমাহিত আধ্যাত্মিক নেতা প্রিন্স করিম আগা খান

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মৃত্যুর পাঁচ দিন পর বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা, বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা, দানবীর প্রিন্স করিম আগা খানকে মিশরের আসওয়ান শহরে দাফন করা হয়েছে।

প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম। তার দাতব্য সংস্থা আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর দেয়। ৮৮ বছর বয়সে পর্তুগালের লিসবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানায়, প্রিন্স করিমকে মিসরের আসওয়ানে তার দাদা আগা খান তৃতীয়ের সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়েছে। নতুন সমাধি নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত তার মৃতদেহ সেখানেই সমাহিত থাকবে। তার দাফন পুরোপুরি পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে পর্তুগালের লিসবনের ইসমাইলি সেন্টারে তার জানাজার সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা, ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দাফনে শুধু নির্বাচিত লোকজন ছিলেন। তবে বিশ্বজুড়ে প্রয়াত নেতার অনুসারীদের জন্য অনুষ্ঠানটি সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা আগা খান ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। ফ্রান্সের একটি প্রাসাদে তিনি বসবাস করতেন। পর্তুগালের লিসবনে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে চিরবিদায় নেন তিনি।

মঙ্গলবার লিসবনে প্রিন্স করিমের জন্য বিশেষ শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে তার পুত্র এবং পরবর্তী উত্তরাধিকারী প্রিন্স রহিম আল-হুসেইনি উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, ইসমাইলি মুসলমানদের বিশাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শোক পালন করে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।

আগা খানের দাতব্য সংস্থা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শত শত হাসপাতাল পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষা এবং সংস্কৃতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

পাকিস্তানে প্রায় পাঁচ লাখ ইসমাইলির বসবাস।এছাড়া ভারত, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে।