প্রত্যাশা ডেস্ক : বিশ্বের বৃহত্তম গম আমদানিকারক দেশ মিশর প্রায় ৬০ শতাংশ গম আমদানী করে থাকে। গত বছর মিশর ৮০ শতাংশ আমদানী করেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গম আমদানী বন্ধ করার কারণে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে।
মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি সোমবার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হওয়া রুটির দাম প্রতি কেজি ১১.৫০ মিশরীয় পাউন্ড নির্ধারণ করেছেন। ৯০ গ্রাম ওজনের ফ্ল্যাট, গোলাকার বালাডি রুটির জন্য নতুন নির্ধারিত মূল্য ১.০০ মিশরীয় পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
গমের আমদানীর ব্যাপারে উদ্বেগের কারণে মিশরের প্রধান খাদ্য রুটির দাম ইতিমধ্যেই বেড়েছে। খাদ্যমূল্যের তীব্র বৃদ্ধি ইতিপূর্বে মিশর, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে প্রধান গম এবং চাল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে খরার কারণে সৃষ্ট ঘাটতির ফলে সারা বিশ্বের ৪০ টিরও বেশি দেশে দাঙ্গা হয়।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলেছে যে গুরুতর ক্ষুধার ঝুঁকি রয়েছে। কারণ ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রধান প্রধান ফসলের সরবরাহকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন একাই বিশ্বব্যাপী গমের ১২ শতাংশ সরবরাহ করত এবং সূর্যমুখী তেলের বৃহত্তম উৎপাদক ছিল। আক্রমণের আগে দেশের গম রপ্তানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করা হয়েছিল, তবে বাকিগুলি এখন অবরুদ্ধ। লড়াই চলতে থাকলে কৃষকরা বসন্তের রোপণ চালিয়ে যেতে বা গ্রীষ্মে শস্য সংগ্রহ করতে অক্ষম হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। গমের দাম গত সপ্তাহে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, যদিও পরে কিছুটা মূল্য কমেছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে গম উৎপাদন এবং রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি, সূর্যমুখী তেলের মতো মৌলিক খাদ্যদ্রব্যের দামও বেড়েছে। ইউরিয়া সারের দাম গত বছরের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।
মিশরে ভর্তুকিহীন রুটির দাম নির্ধারণ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ