ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

মিরাজের কাছে চাই আরও কিছু

  • আপডেট সময় : ১০:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজের ভূমিকা সবসময়ই দৃশ্যমান। কিন্তু মিরাজ কি পারবেন নিজেকে পরের ধাপে নিতে? শরীফুল ইসলাম নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, তবু বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজই (মাঝে)। মায়ার্স–পুরান–পাওয়েলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ৩টি যে পেয়েছিলেন তিনি। ছবিটি প্রথম ওয়ানডের শরীফুল ইসলাম নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, তবু বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজই (মাঝে)। মায়ার্স–পুরান–পাওয়েলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ৩টি যে পেয়েছিলেন তিনি। সাকিব আল হাসান যখন থাকেন না, তখনই আলোচনাটা বেশি হয়। সাকিবের মতো আর যদি এমন একজন ক্রিকেটার থাকতেন, যার ওপর ব্যাটিং–বোলিং সবকিছুতেই নির্ভর করা যাবে! একাদশে দুজন খেলোয়াড়ের কাজ একা করে দেবেন। বাংলাদেশের এই দলে সাকিবের পর তেমন ক্রিকেটার যদি কেউ থাকেন সেটা মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু পুরোপুরি সাকিবের মতো কি হতে পারছেন তিনি? খেলার মাঠে মিরাজের উপস্থিতি সবসময়ই দৃশ্যমান। হয় ব্যাট হাতে কিছু করছেন, অথবা বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দিচ্ছেন ব্রেক থ্রু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে যেমন শরীফুল ইসলাম ৪ উইকেট নেওয়ার পরও ৩ উইকেট নিয়ে মিরাজই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। কাইল মায়ার্স, নিকোলাস পুরান আর রোভম্যান পাওয়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট যে তিনিই নিয়েছিলেন! বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিচ্ছেন মিরাজ ব্যাটিংয়েও তাঁর কার্যকর ভূমিকা সবসময় চোখে পড়ার মতো। ইনিংসের যেখানেই নামেন, চেষ্টা করেন পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের কাজটা করে দিয়ে আসতে। প্রয়োজনের সময় দ্রুত ৩০–৩৫ রান তুলে ফেলে কিংবা উইকেটে থিতু ব্যাটসম্যানকে সময়োপযোগী সঙ্গ দিয়ে পার্শ্বনায়কের ভূমিকায় নিজেকে আলো করে রাখেন মিরাজ। ২০১৮ সালে দুবাই এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটার কথা মনে আছে হয়তোবা। এর আগে খেলা ১৬টি ওয়াডেতে মিরাজ কখনো ৬ নম্বরের ওপরে ব্যাট করেননি। অনেক ম্যাচে তো ব্যাটিংই পাননি। কিন্তু সেদিন লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামিয়ে দেওয়া হলো তাঁকেই। ফলাফল ১২০ রানের জুটি, ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ওটাই ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। লিটনের শতক হাঁকানো ম্যাচে মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছিল ৫৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস। আবার কখনো হয়তো ব্যাট, বল কোনোটা হাতেই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। সেদিন দেখবেন মিরাজ ঠিকই এক–দুইটা দারুন ক্যাচ নিয়ে নিয়েছেন। দুর্দান্ত কোনো রানআউটে মিশে থাকে তাঁর ক্ষিপ্রগতি। আর বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় তো সারাক্ষণই মাঠের বাইরে থেকে শোনা যায় তাঁর চিৎকার। ‘শাবাশ, শাবাশ’, ‘এই বলটাই করো…’—বোলারদের উৎসাহটা এমনভাবে দেন, পারলে যেন নিজেই বোলিং করে দিয়ে আসেন। কাল প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সংবাদসম্মেলনের পর মিরাজের কাছে জানতে চাইলাম, মাঠে সারাক্ষণই কীভাবে নিজেকে এত সক্রিয় রাখেন? কখনোই ক্লান্তি নেই, প্রতিমুহূর্তে কিছু না কিছু করার চেষ্টা। মিরাজ হেসে বলেন, ‘আমি আসলে সবসময় চেষ্টা করি দলের কাজে লাগে এমন কিছু করতে। সেটা যে কোনোভাবেই হোক। ব্যাটিং, বোলিং এমনকি ফিল্ডিংয়ের সময়ও আমার মনে হয়, অনেক কিছু করার থাকে। এভাবে ভাবি বলেই হয়তো হয়ে যায়।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিরাজের কাছে চাই আরও কিছু

আপডেট সময় : ১০:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজের ভূমিকা সবসময়ই দৃশ্যমান। কিন্তু মিরাজ কি পারবেন নিজেকে পরের ধাপে নিতে? শরীফুল ইসলাম নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, তবু বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজই (মাঝে)। মায়ার্স–পুরান–পাওয়েলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ৩টি যে পেয়েছিলেন তিনি। ছবিটি প্রথম ওয়ানডের শরীফুল ইসলাম নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, তবু বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজই (মাঝে)। মায়ার্স–পুরান–পাওয়েলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ৩টি যে পেয়েছিলেন তিনি। সাকিব আল হাসান যখন থাকেন না, তখনই আলোচনাটা বেশি হয়। সাকিবের মতো আর যদি এমন একজন ক্রিকেটার থাকতেন, যার ওপর ব্যাটিং–বোলিং সবকিছুতেই নির্ভর করা যাবে! একাদশে দুজন খেলোয়াড়ের কাজ একা করে দেবেন। বাংলাদেশের এই দলে সাকিবের পর তেমন ক্রিকেটার যদি কেউ থাকেন সেটা মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু পুরোপুরি সাকিবের মতো কি হতে পারছেন তিনি? খেলার মাঠে মিরাজের উপস্থিতি সবসময়ই দৃশ্যমান। হয় ব্যাট হাতে কিছু করছেন, অথবা বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দিচ্ছেন ব্রেক থ্রু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে যেমন শরীফুল ইসলাম ৪ উইকেট নেওয়ার পরও ৩ উইকেট নিয়ে মিরাজই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। কাইল মায়ার্স, নিকোলাস পুরান আর রোভম্যান পাওয়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট যে তিনিই নিয়েছিলেন! বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু দিচ্ছেন মিরাজ ব্যাটিংয়েও তাঁর কার্যকর ভূমিকা সবসময় চোখে পড়ার মতো। ইনিংসের যেখানেই নামেন, চেষ্টা করেন পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের কাজটা করে দিয়ে আসতে। প্রয়োজনের সময় দ্রুত ৩০–৩৫ রান তুলে ফেলে কিংবা উইকেটে থিতু ব্যাটসম্যানকে সময়োপযোগী সঙ্গ দিয়ে পার্শ্বনায়কের ভূমিকায় নিজেকে আলো করে রাখেন মিরাজ। ২০১৮ সালে দুবাই এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটার কথা মনে আছে হয়তোবা। এর আগে খেলা ১৬টি ওয়াডেতে মিরাজ কখনো ৬ নম্বরের ওপরে ব্যাট করেননি। অনেক ম্যাচে তো ব্যাটিংই পাননি। কিন্তু সেদিন লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামিয়ে দেওয়া হলো তাঁকেই। ফলাফল ১২০ রানের জুটি, ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ওটাই ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। লিটনের শতক হাঁকানো ম্যাচে মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছিল ৫৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস। আবার কখনো হয়তো ব্যাট, বল কোনোটা হাতেই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। সেদিন দেখবেন মিরাজ ঠিকই এক–দুইটা দারুন ক্যাচ নিয়ে নিয়েছেন। দুর্দান্ত কোনো রানআউটে মিশে থাকে তাঁর ক্ষিপ্রগতি। আর বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় তো সারাক্ষণই মাঠের বাইরে থেকে শোনা যায় তাঁর চিৎকার। ‘শাবাশ, শাবাশ’, ‘এই বলটাই করো…’—বোলারদের উৎসাহটা এমনভাবে দেন, পারলে যেন নিজেই বোলিং করে দিয়ে আসেন। কাল প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সংবাদসম্মেলনের পর মিরাজের কাছে জানতে চাইলাম, মাঠে সারাক্ষণই কীভাবে নিজেকে এত সক্রিয় রাখেন? কখনোই ক্লান্তি নেই, প্রতিমুহূর্তে কিছু না কিছু করার চেষ্টা। মিরাজ হেসে বলেন, ‘আমি আসলে সবসময় চেষ্টা করি দলের কাজে লাগে এমন কিছু করতে। সেটা যে কোনোভাবেই হোক। ব্যাটিং, বোলিং এমনকি ফিল্ডিংয়ের সময়ও আমার মনে হয়, অনেক কিছু করার থাকে। এভাবে ভাবি বলেই হয়তো হয়ে যায়।’