ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

মিরপুর থেকে মর্টার শেল উদ্ধার

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা এলাকার সড়কে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মাটি খননের সময় মর্টার শেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব বলছে, মর্টার শেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরাতন। এর আয়তন ৬০ মিলিমিটার। মর্টার শেলটি ছিল সক্রিয়। এটি বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনও মানুষ থাকলে স্প্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।
গতকাল বুধবার দুপুরে মিরপুরে মর্টার শেল উদ্ধারের ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের একটি বাসার খনন কাজ করার সময় মর্টার শেল পাওয়া যায়। প্রথমে র‌্যাব-৪ মর্টার শেলের খবর পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। আমরা এসে দেখতে পাই ‑ শেলটি ৬০ মিলিমিটারের। এর গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না। মর্টার সেলটি দীর্ঘদিনের পুরাতন। তবে এটি এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং বিস্ফোরণের ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, খননকৃত মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি আর কোনও বোম রয়েছে কিনা। তবে আমরা আর কোনও বিস্ফোরক বা বোমের সন্ধান এখানে পাইনি। বোমটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে এলো ‑ এমন প্রশ্নে মেজর মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, বোমটির দুটি উৎস হতে পারে। একটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তী সময়ে মাটির নিচে কেউ পুঁতেও রাখতে পারে। বোমটির গায়ের মার্কগুলো দেখা যাচ্ছে না তাই প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরি।
মর্টালশেলটি সক্রিয় কিনা জানতে চাইলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, মর্টার শেলটির ভেতরে এক্সপ্লোসিভ রয়েছে। হয়তো দূর থেকে এটি ফায়ার করা হয়েছিল এখানে এসে পড়েছিল। সুতরাং এটি আংশিকভাবে সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নাড়াচাড়া করলে অথবা বাইরের বল প্রয়োগ করলে মর্টালশেলটি বিস্ফোরিত হতে পারে। বিস্ফোরিত হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো ‑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মর্টাল শেলটির আয়তন ৬০ মিলিমিটার। বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনও মানুষ থাকলে স্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। বোমটি উদ্ধারের পর নিরাপদ দূরত্বে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যাতে এর আশেপাশে কেউ প্রবেশ করতে না পারে৷ সঙ্গে র‌্যাবের টহল ইউনিটও ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুর থেকে মর্টার শেল উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:৪০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা এলাকার সড়কে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মাটি খননের সময় মর্টার শেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব বলছে, মর্টার শেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরাতন। এর আয়তন ৬০ মিলিমিটার। মর্টার শেলটি ছিল সক্রিয়। এটি বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনও মানুষ থাকলে স্প্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।
গতকাল বুধবার দুপুরে মিরপুরে মর্টার শেল উদ্ধারের ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের একটি বাসার খনন কাজ করার সময় মর্টার শেল পাওয়া যায়। প্রথমে র‌্যাব-৪ মর্টার শেলের খবর পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। আমরা এসে দেখতে পাই ‑ শেলটি ৬০ মিলিমিটারের। এর গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না। মর্টার সেলটি দীর্ঘদিনের পুরাতন। তবে এটি এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং বিস্ফোরণের ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, খননকৃত মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি আর কোনও বোম রয়েছে কিনা। তবে আমরা আর কোনও বিস্ফোরক বা বোমের সন্ধান এখানে পাইনি। বোমটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে এলো ‑ এমন প্রশ্নে মেজর মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, বোমটির দুটি উৎস হতে পারে। একটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তী সময়ে মাটির নিচে কেউ পুঁতেও রাখতে পারে। বোমটির গায়ের মার্কগুলো দেখা যাচ্ছে না তাই প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরি।
মর্টালশেলটি সক্রিয় কিনা জানতে চাইলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, মর্টার শেলটির ভেতরে এক্সপ্লোসিভ রয়েছে। হয়তো দূর থেকে এটি ফায়ার করা হয়েছিল এখানে এসে পড়েছিল। সুতরাং এটি আংশিকভাবে সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নাড়াচাড়া করলে অথবা বাইরের বল প্রয়োগ করলে মর্টালশেলটি বিস্ফোরিত হতে পারে। বিস্ফোরিত হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো ‑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মর্টাল শেলটির আয়তন ৬০ মিলিমিটার। বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনও মানুষ থাকলে স্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। বোমটি উদ্ধারের পর নিরাপদ দূরত্বে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যাতে এর আশেপাশে কেউ প্রবেশ করতে না পারে৷ সঙ্গে র‌্যাবের টহল ইউনিটও ছিল।