ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

মিরপুর ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে অগ্নিকাণ্ডের দায়ীদের বিচার দাবি স্কপের

  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্কপ আয়োজিত মানববন্ধন -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর শিয়ালবাড়ী ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার ও শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। একইসঙ্গে ইপিজেডসহ দেশের সব শিল্পকারখানায় বাধাহীন পরিদর্শন ও ট্রেড ইউনিয়ন চর্চা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্কপ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। ‘মিরপুরে অগ্নিনির্বাপণ সনদ ছাড়া পরিচালিত কেমিক্যাল ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ শ্রমিক নিহত, অর্ধশতাধিক আহত এবং চট্টগ্রাম ইপিজেডে অগ্নিনির্বাপণ সনদ ছাড়া নির্মিত কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দায়ীদের বিচার’ দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মিরপুর শিয়ালবাড়ীর কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পরই জানা যায়, কারখানাটি অগ্নিনির্বাপণ সনদ বা কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু ঘটনার আগে এসব অনিয়ম কেন প্রকাশ পায় না? ইপিজেডের মতো সুরক্ষিত এলাকায় অনুমোদন ছাড়া কীভাবে আটতলা কারখানা ভবন গড়ে উঠতে পারে? তারা বলেন, মিরপুরের কারখানা ভবনগুলোর ঘনত্ব ও কাঠামো থেকে কোনো ভবনকেই শিল্পকারখানা হিসেবে গণ্য করা যায় না। অর্থাৎ, রাজউক, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ) এবং অগ্নিনির্বাপণ সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে ইপিজেড কর্তৃপক্ষও তাদের পরিদর্শন দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি।

বক্তারা শ্রম পরিদর্শন অধিদপ্তরের ক্ষমতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং সব শিল্পকারখানাকে একক পরিদর্শন কাঠামোর আওতায় আনার দাবি জানান। তারা আরো বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের মানদণ্ডে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মানববন্ধনে নেতারা শ্রম আইন সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ এবং ইপিজেডসহ দেশের সব কারখানায় কলকারখানা পরিদর্শকদের অবাধ প্রবেশাধিকার ও ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, আহসান হাবিব বুলবুল, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ।

সানা/আপ্র/১৮/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুর ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে অগ্নিকাণ্ডের দায়ীদের বিচার দাবি স্কপের

আপডেট সময় : ০৯:০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর শিয়ালবাড়ী ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার ও শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। একইসঙ্গে ইপিজেডসহ দেশের সব শিল্পকারখানায় বাধাহীন পরিদর্শন ও ট্রেড ইউনিয়ন চর্চা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্কপ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। ‘মিরপুরে অগ্নিনির্বাপণ সনদ ছাড়া পরিচালিত কেমিক্যাল ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ শ্রমিক নিহত, অর্ধশতাধিক আহত এবং চট্টগ্রাম ইপিজেডে অগ্নিনির্বাপণ সনদ ছাড়া নির্মিত কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দায়ীদের বিচার’ দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মিরপুর শিয়ালবাড়ীর কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পরই জানা যায়, কারখানাটি অগ্নিনির্বাপণ সনদ বা কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু ঘটনার আগে এসব অনিয়ম কেন প্রকাশ পায় না? ইপিজেডের মতো সুরক্ষিত এলাকায় অনুমোদন ছাড়া কীভাবে আটতলা কারখানা ভবন গড়ে উঠতে পারে? তারা বলেন, মিরপুরের কারখানা ভবনগুলোর ঘনত্ব ও কাঠামো থেকে কোনো ভবনকেই শিল্পকারখানা হিসেবে গণ্য করা যায় না। অর্থাৎ, রাজউক, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ) এবং অগ্নিনির্বাপণ সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে ইপিজেড কর্তৃপক্ষও তাদের পরিদর্শন দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি।

বক্তারা শ্রম পরিদর্শন অধিদপ্তরের ক্ষমতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং সব শিল্পকারখানাকে একক পরিদর্শন কাঠামোর আওতায় আনার দাবি জানান। তারা আরো বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের মানদণ্ডে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মানববন্ধনে নেতারা শ্রম আইন সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ এবং ইপিজেডসহ দেশের সব কারখানায় কলকারখানা পরিদর্শকদের অবাধ প্রবেশাধিকার ও ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, আহসান হাবিব বুলবুল, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ।

সানা/আপ্র/১৮/১০/২০২৫