ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মিরপুরের আগুন কাঠামোগত ও গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড: আইপিডি

  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর থানার শিয়ালবাড়িতে আগুনের ঘটনায় শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনাকে কাঠামোগত ও গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড বলে বিবেচনায় নিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে আগুনের ঘটনায় নিহত পরিবারদের প্রতি গভীর শোক জানানোর পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি করছে আইপিডি।

বিবৃতিতে আইপিডি বলেছে, অনুমোদনহীনভাবে যত্রতত্র বিপজ্জনক শিল্পকারখানা স্থাপন, অগ্নি-নিরাপত্তা সনদ না নেওয়া, ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ও অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, ভবন ও কারখানার যথাযথ ব্যবহার অনুমোদন না নিয়েই বিপজ্জনক ব্যবহার এবং নগর পরিকল্পনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করার কারণেই দারিদ্র্যপীড়িত এসব শ্রমিকদের আগুনে পুড়ে অসহায়ভাবে মারা যেতে হলো।

শিল্প মালিকরা শহরের পরিকল্পনা এবং ইমারত ও শিল্প সংশ্লিষ্ট সব আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। ভবনের যথাযথ কর্মপরিবেশ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে মানুষের দারিদ্র্যকে পুঁজি করে শিল্প কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বাধ্য করে এই ধরনের কারখানায় কাজ করতে। ফলে মানুষ হত্যার দায় নিয়ে শিল্প মালিকেদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছে আইপিডি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর, শ্রম অধিদফতর, বিস্ফোরক পরিদফতর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এদের প্রত্যেকেই তাদের ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এভাবে মানুষ মারা যেত না।

ফলে এই ঘটনাকে কাঠামোগত ও গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনা একান্ত জরুরি। ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন নগর এলাকায় যত্রতত্র এসব শিল্পকারখানা অবাধে গড়ে ওঠার পেছনে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতির একটা চক্র গড়ে উঠেছে, যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরি।

আইপিডি জানায়, শহরের মহাপরিকল্পনাকে আমলে না নিয়ে এবং শিল্প জোনে না গিয়ে যত্রতত্র শিল্পকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে শ্রমিক ও আশপাশের জনবসতির জীবনের নিরাপত্তাকে বিপর্যস্ত করবার অধিকার কারো নেই। শ্রমিক ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে রাষ্ট্রের সর্বশক্তি দিয়ে এই প্রবণতা রোধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবার জোর দাবি জানাচ্ছে আইপিডি।

এসি/আপ্র/১৫/১০/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মিরপুরের আগুন কাঠামোগত ও গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড: আইপিডি

আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর থানার শিয়ালবাড়িতে আগুনের ঘটনায় শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনাকে কাঠামোগত ও গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড বলে বিবেচনায় নিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে আগুনের ঘটনায় নিহত পরিবারদের প্রতি গভীর শোক জানানোর পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি করছে আইপিডি।

বিবৃতিতে আইপিডি বলেছে, অনুমোদনহীনভাবে যত্রতত্র বিপজ্জনক শিল্পকারখানা স্থাপন, অগ্নি-নিরাপত্তা সনদ না নেওয়া, ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ও অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, ভবন ও কারখানার যথাযথ ব্যবহার অনুমোদন না নিয়েই বিপজ্জনক ব্যবহার এবং নগর পরিকল্পনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করার কারণেই দারিদ্র্যপীড়িত এসব শ্রমিকদের আগুনে পুড়ে অসহায়ভাবে মারা যেতে হলো।

শিল্প মালিকরা শহরের পরিকল্পনা এবং ইমারত ও শিল্প সংশ্লিষ্ট সব আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। ভবনের যথাযথ কর্মপরিবেশ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে মানুষের দারিদ্র্যকে পুঁজি করে শিল্প কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বাধ্য করে এই ধরনের কারখানায় কাজ করতে। ফলে মানুষ হত্যার দায় নিয়ে শিল্প মালিকেদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছে আইপিডি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর, শ্রম অধিদফতর, বিস্ফোরক পরিদফতর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এদের প্রত্যেকেই তাদের ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এভাবে মানুষ মারা যেত না।

ফলে এই ঘটনাকে কাঠামোগত ও গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনা একান্ত জরুরি। ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন নগর এলাকায় যত্রতত্র এসব শিল্পকারখানা অবাধে গড়ে ওঠার পেছনে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতির একটা চক্র গড়ে উঠেছে, যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরি।

আইপিডি জানায়, শহরের মহাপরিকল্পনাকে আমলে না নিয়ে এবং শিল্প জোনে না গিয়ে যত্রতত্র শিল্পকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে শ্রমিক ও আশপাশের জনবসতির জীবনের নিরাপত্তাকে বিপর্যস্ত করবার অধিকার কারো নেই। শ্রমিক ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে রাষ্ট্রের সর্বশক্তি দিয়ে এই প্রবণতা রোধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবার জোর দাবি জানাচ্ছে আইপিডি।

এসি/আপ্র/১৫/১০/২০২৫