ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত, গুলিবিদ্ধ ২

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা : বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিনের অদূরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশি এক জেলে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। নিহত জেলের নাম ওসমান গণি (৩২)। তিনি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ কোনাপাড়ার মৃত বাচা মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন স্থানীয় সুলতান আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু ও শফি উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ রফিক। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউএনও আদনান চৌধুরী জানান, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরার সময় ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এসময় ছয়টি ট্রলারের ৫০-৬০ জন জেলেকে তারা আটক করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে একটি ট্রলারসহ ১১ জেলেদের হস্তান্তর করেছে। একটি ট্রলার ও নিহত ব্যক্তির মরদেহসহ ১১ জন জেলে নিয়ে কোস্টগার্ড শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে পৌঁছে।
এর কয়েক ঘন্টা পর বাংলাদেশি ৫টি ফিশিং ট্রলার ও ৭২ জন মাঝি-মাল্লাকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে। ট্রলার মালিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাঁচটি ট্রলারের মধ্যে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমানের ২টি, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহর একটি, তার ভাই আতা উল্লাহর একটি ও উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেমের একটি।
ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে নিহত জেলেসহ সাইফুলের মালিকাধীন ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে আসে। এরপর বিকেল ৪টার দিকে অপর ৫টি ট্রলার জেলেরাসহ সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে। তিনি বলেন, ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে এসব জেলেদের কাছ থেকে কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনী তথ্য সংগ্রহ করছে। এর পরে সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারগুলো শাহপরীরদ্বীপ ঘাটে নিয়ে আসা হবে। ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে তার ট্রলারে গুলি বর্ষণ করে। এতে ট্রলারে থাকা তিনজন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের একজনের মৃত্যু হয়। টেকনাফে দায়িত্বরত নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কাসেম জানান, জেলের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত, গুলিবিদ্ধ ২

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার সংবাদদাতা : বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিনের অদূরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশি এক জেলে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। নিহত জেলের নাম ওসমান গণি (৩২)। তিনি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ কোনাপাড়ার মৃত বাচা মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন স্থানীয় সুলতান আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু ও শফি উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ রফিক। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউএনও আদনান চৌধুরী জানান, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরার সময় ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এসময় ছয়টি ট্রলারের ৫০-৬০ জন জেলেকে তারা আটক করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে একটি ট্রলারসহ ১১ জেলেদের হস্তান্তর করেছে। একটি ট্রলার ও নিহত ব্যক্তির মরদেহসহ ১১ জন জেলে নিয়ে কোস্টগার্ড শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে পৌঁছে।
এর কয়েক ঘন্টা পর বাংলাদেশি ৫টি ফিশিং ট্রলার ও ৭২ জন মাঝি-মাল্লাকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে। ট্রলার মালিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাঁচটি ট্রলারের মধ্যে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমানের ২টি, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহর একটি, তার ভাই আতা উল্লাহর একটি ও উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেমের একটি।
ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে নিহত জেলেসহ সাইফুলের মালিকাধীন ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে আসে। এরপর বিকেল ৪টার দিকে অপর ৫টি ট্রলার জেলেরাসহ সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছে। তিনি বলেন, ট্রলারের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে এসব জেলেদের কাছ থেকে কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনী তথ্য সংগ্রহ করছে। এর পরে সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারগুলো শাহপরীরদ্বীপ ঘাটে নিয়ে আসা হবে। ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে তার ট্রলারে গুলি বর্ষণ করে। এতে ট্রলারে থাকা তিনজন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের একজনের মৃত্যু হয়। টেকনাফে দায়িত্বরত নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কাসেম জানান, জেলের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।