ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি ২ জেলে

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

টেকনাফ প্রতিনিধি: সাগরে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপে নাইক্ষ্যংদিয়ায় নাফ নদে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া এলাকার মোহাম্মদ সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ও মাঝের ডেইল এলাকার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২০)। গুলিবিদ্ধ জেলেরা সাগরে মাছ ধরা শেষে ট্রলার নিয়ে নাফ নদ দিয়ে তীরে ফিরছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘প্রবাসী মো. সিদ্দিকের মালিকানাধীন ট্রলারে চার দিন আগে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যায়। রবিবার ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ট্রলারটি ধাওয়া করে নাফ নদে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্য একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলারে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নাফ নদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি। ট্রলারে আমার ৯ জন ছিলাম।’ তবে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ গুলিবিদ্ধ জেলেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওপারে মাছ শিকারে গিয়ে জেলেরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরও বিষয়টিতে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’ পাশাপাশি সীমান্তের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা। টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. সুরাইয়া ইয়াছমিন বলেন, ‘আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অপরজন ফারুকের গায়ে ৩টি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলিতে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকার করে ফেরার পথে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে দুই জেলে আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে, রবিবার সকাল থেকে কোস্টগার্ডের টহল চলে নাফ নদে। টহল পরিদর্শন করেন কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী। তার পরিদর্শনের সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে আহতের ঘটনা ঘটলো।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি ২ জেলে

আপডেট সময় : ০১:৪২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ প্রতিনিধি: সাগরে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপে নাইক্ষ্যংদিয়ায় নাফ নদে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া এলাকার মোহাম্মদ সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ও মাঝের ডেইল এলাকার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২০)। গুলিবিদ্ধ জেলেরা সাগরে মাছ ধরা শেষে ট্রলার নিয়ে নাফ নদ দিয়ে তীরে ফিরছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘প্রবাসী মো. সিদ্দিকের মালিকানাধীন ট্রলারে চার দিন আগে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যায়। রবিবার ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ট্রলারটি ধাওয়া করে নাফ নদে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্য একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলারে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নাফ নদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি। ট্রলারে আমার ৯ জন ছিলাম।’ তবে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ গুলিবিদ্ধ জেলেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওপারে মাছ শিকারে গিয়ে জেলেরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরও বিষয়টিতে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’ পাশাপাশি সীমান্তের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা। টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. সুরাইয়া ইয়াছমিন বলেন, ‘আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অপরজন ফারুকের গায়ে ৩টি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলিতে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকার করে ফেরার পথে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে দুই জেলে আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে, রবিবার সকাল থেকে কোস্টগার্ডের টহল চলে নাফ নদে। টহল পরিদর্শন করেন কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী। তার পরিদর্শনের সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে আহতের ঘটনা ঘটলো।