ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিয়ানমার জান্তার নির্বাচন পরিকল্পনায় ভারতের সমর্থন

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

চীনের তিয়ানজিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং -ছবি রয়টার্স

প্রত্যাশা ডেস্ক: ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ভারত, মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে।

রয়টার্স লিখেছে, নয়া দিল্লি এমন এক ভোটের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে যাকে সমালোচকরা ইতোমধ্যে ‘নির্বাচনের ভান’ বলে উপহাস করেছেন।

গত রোববার সোমবার (৩১ আগস্ট) চীনের বন্দর শহর তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং। এই সম্মেলন জেনারেল হ্লাইংকে আন্তর্জাতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসার বিরল সুযোগ করে দিয়েছে। ২০২১ সালে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করায় নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে তাকে এড়িয়ে চলছিলেন বিদেশি নেতারা।

রাষ্ট্রায়ত্ত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে তারা উভয় দেশের সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ এবং বাণিজ্য, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন সরকারকে সাড়ে চার বছর আগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তার কিছুদিন পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে একটি ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই গৃহযুদ্ধের মধ্যেই কয়েক ধাপে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছে তারা। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রথম এ নির্বাচনে তিনশরও বেশি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব আসনের অনেকগুলো বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। গত বছর সামরিক বাহিনী সমর্থিত কর্তৃপক্ষ ভোটার তালিক তৈরি করার উদ্যোগ নিয়ে দেশব্যাপী একটি আদমশুমারি করেছিল। কিন্তু তারা মিয়ানমারের ৩৩০টি শহরের মধ্যে মাত্র ১৪৫টিতে সরেজমিনে জরিপ পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল। বাকি এলাকাগুলোর ভোটার আকাশপথে চালানো জরিপের মাধ্যমে আনুমানিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচন ‘সব পক্ষকে নিয়ে একটি সুষ্ঠ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাবে অনুষ্ঠিত হবে’ বলে আশা প্রকাশ করেছেন মোদী। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৫৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হয়েছে। এদের মধ্যে নয়টি দল দেশজুড়ে সবগুলো আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন আগে জেনারেল হ্লাইং চীনের প্রেসিডেন্ট্ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই নেতা মিয়ানমারের নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বেইজিংয়ের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন বলে গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমার জান্তার নির্বাচন পরিকল্পনায় ভারতের সমর্থন

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ভারত, মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে।

রয়টার্স লিখেছে, নয়া দিল্লি এমন এক ভোটের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে যাকে সমালোচকরা ইতোমধ্যে ‘নির্বাচনের ভান’ বলে উপহাস করেছেন।

গত রোববার সোমবার (৩১ আগস্ট) চীনের বন্দর শহর তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং। এই সম্মেলন জেনারেল হ্লাইংকে আন্তর্জাতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসার বিরল সুযোগ করে দিয়েছে। ২০২১ সালে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করায় নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে তাকে এড়িয়ে চলছিলেন বিদেশি নেতারা।

রাষ্ট্রায়ত্ত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে তারা উভয় দেশের সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ এবং বাণিজ্য, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন সরকারকে সাড়ে চার বছর আগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তার কিছুদিন পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে একটি ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই গৃহযুদ্ধের মধ্যেই কয়েক ধাপে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছে তারা। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রথম এ নির্বাচনে তিনশরও বেশি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব আসনের অনেকগুলো বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। গত বছর সামরিক বাহিনী সমর্থিত কর্তৃপক্ষ ভোটার তালিক তৈরি করার উদ্যোগ নিয়ে দেশব্যাপী একটি আদমশুমারি করেছিল। কিন্তু তারা মিয়ানমারের ৩৩০টি শহরের মধ্যে মাত্র ১৪৫টিতে সরেজমিনে জরিপ পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল। বাকি এলাকাগুলোর ভোটার আকাশপথে চালানো জরিপের মাধ্যমে আনুমানিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচন ‘সব পক্ষকে নিয়ে একটি সুষ্ঠ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাবে অনুষ্ঠিত হবে’ বলে আশা প্রকাশ করেছেন মোদী। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৫৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হয়েছে। এদের মধ্যে নয়টি দল দেশজুড়ে সবগুলো আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন আগে জেনারেল হ্লাইং চীনের প্রেসিডেন্ট্ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই নেতা মিয়ানমারের নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বেইজিংয়ের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন বলে গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ