বিনোদন প্রতিবেদক : মূলত ক্রিকেট অভিধানের শব্দ হলেও অভিনয়শিল্পীদের ক্ষেত্রেও বহুল ব্যবহৃত শব্দ ‘দ্বিতীয় ইনিংস’। কোনো কাজ অভিনয়শিল্পীর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিলে হামেশাই এই শব্দটি লেখা হয়। ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের ক্ষেত্রে সম্ভবত এই শব্দটি এখন সবচেয়ে ভালো যায়। গত ১৪ বছরে দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করলেও গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ দিয়ে বলা যায় ক্যারিয়ারের ‘দ্বিতীয় ইনিংস’-এ প্রবেশ করলেন এ অভিনেত্রী। অথচ মুক্তির আগে ‘পরাণ’ নিয়ে বড় কোনো প্রত্যাশাই ছিল না তার। ‘পরাণ’ ছবির শুটিং শেষ হয় আজ থেকে তিন বছর আগে। শুটিং শেষে শুরু হয় করোনা মহামারি। আরো নানা কারণে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছিল না। স্বভাবতই মন খারাপ ছিলো মিমের। অবশেষে গত পবিত্র ঈদুল আজহায় ছবিটি মুক্তি পেয়ে সবার মনে জায়গা করে নেন মিম।
মুক্তির দ্বিতীয় দিন থেকেই ধারণা পাল্টে যেতে থাকে। মাল্টিপ্লেক্সে বাড়তে থাকে প্রদর্শনী সংখ্যা। দর্শক আগ্রহে একপর্যায়ে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দুটি থেকে প্রদর্শনী বাড়িয়ে ২১-এ নিয়ে যায়। ঢাকার বাহিরেও বাড়তে থাকে হল সংখ্যা। চতুর্থ সপ্তাহে এসে হলসংখ্যা ১১ থেকে দাঁড়ায় ৬০-এ। পঞ্চম সপ্তাহে এসেও ৫০টি হলে চলছে ছবিটি। অনন্যা চরিত্রে অভিনয় করে এত প্রশংসা কেমন উপভোগ করছেন মিম? উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী বলেন, এখন খুব ভালো লাগছে। সব শ্রেণির মানুষ ছবিটি দেখছেন। মুক্তির ২৭তম দিনে এসেও হাউসফুল যাচ্ছে। যারা কখনোই হলে সিনেমা দেখতে আসেননি, তারাও ছবিটি দেখছেন। পুরোনা দর্শকের পাশাপাশি নতুনেরাও দেখতে আসছেন। কেউ কেউ আমাকে বলেছেন, তারা দু-তিনবার ছবিটি দেখেছেন। বড় ব্যাপার হলো, অনেকে পরিবার নিয়ে সিনেমাটি দেখছেন। অনেক বছর পর প্রেক্ষাগৃহগুলোয় বাংলা সিনেমা নিয়ে এমন ঘটনা ঘটল। এটা তো আমার জন্য অসম্ভব ভালো লাগার। ‘পরাণ’-এর সাফল্যের পরে নতুন কাজের প্রস্তাব আসছে মিমের কাছে। তিনি বললেন, গত কয়েক দিনে তিনটি চিত্রনাট্য পেয়েছি। তবে বুঝেশুনে কাজ করতে হবে। গল্প শুনে, চরিত্র বুঝে পরের ছবি করতে হবে। দর্শকের বিশ্বাস হারাতে চাই না।
মিমের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ