ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মিত্রতা জোরদারে সম্মত বাইডেন-ত্রং

  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নগুয়েন ফু ত্রংয়ের সঙ্গে ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ‘উন্নত, বিকশিত ও গভীর’ করতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। বুধবার এই দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তা হয় বলে ভিয়েতনামি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান নন, এমন কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বাইডেনের এ ফোনালাপ এমন সময়ে হল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গণতন্ত্রের জন্য দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। ত্রং ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, ত্রংয়ের সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন শক্তিশালী, সমৃদ্ধ, দৃঢ়চেতা ও স্বাধীন ভিয়েতনামের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দুই নেতা আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং মুক্ত ও অবাধ এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতেও একত্রে কাজ করবেন, বলেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র এখন ভিয়েতনামের সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার; এক সময়ের শত্রু এই দুই দেশ এ বছর ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্বের’ এক দশকপূর্তি পালন করছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যেন বৃহৎ প্রতিবেশী চীনকে শত্রুভাবাপন্ন করে না তোলে, সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে হ্যানয়। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ভিয়েতনামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশটির মানবাধিকার রেকর্ড বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হ্যানয় সরকারের ভিন্নমতে অসহিষ্ণুতা এবং বিরোধীদের নিয়মিত জেলে পাঠানো ও হয়রানি করা নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনাও আছে। ফোনালাপে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের জোট আসিয়ানের কেন্দ্রিকতা, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপরও বাইডেন জোর দিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বছর ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু দুই পরাশক্তি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে নানান ইস্যুতে তুমুল উত্তেজনা চলাকালে চীন এ পদক্ষেপকে বৈরি হিসেব দেখতে পারে এমন উদ্বেগ থেকে মার্কিন ওই প্রচেষ্টা হ্যানয়ের ভেতরেই তুমুল প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের।
“দুই নেতা সম্পর্ক আরও উন্নত করার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা করতে দুই পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দায়িত্ব দেবেন,” বলা হয়েছে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা নান দানের প্রতিবেদনে। ভিয়েতনামের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ত্রং এবং বাইডেন একে অপরকে নিজ নিজ দেশ সফরে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন, বলেছে নান দান। বারাক ওবামা ও ডনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন তখন ত্রং তাদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। “ভিয়েতনাম ধারাবাহিকভাবে স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, শান্তি, বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, বৈচিত্রতা ও সম্পর্কের বহুপাক্ষিকীকরণ, ক্রিয়াশীল ও সক্রিয় বৈশ্বিক মিলনের বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে যাবে,” ফোনালাপে ত্রং এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে নান দান। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নজিরবিহীন তৃতীয় মেয়াদের জন্য চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ত্রং প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে বেইজিংয়ে গিয়ে প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিত্রতা জোরদারে সম্মত বাইডেন-ত্রং

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

বিদেশের খবর ডেস্ক : ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নগুয়েন ফু ত্রংয়ের সঙ্গে ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ‘উন্নত, বিকশিত ও গভীর’ করতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। বুধবার এই দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তা হয় বলে ভিয়েতনামি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান নন, এমন কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বাইডেনের এ ফোনালাপ এমন সময়ে হল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গণতন্ত্রের জন্য দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। ত্রং ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, ত্রংয়ের সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন শক্তিশালী, সমৃদ্ধ, দৃঢ়চেতা ও স্বাধীন ভিয়েতনামের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দুই নেতা আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং মুক্ত ও অবাধ এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতেও একত্রে কাজ করবেন, বলেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র এখন ভিয়েতনামের সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার; এক সময়ের শত্রু এই দুই দেশ এ বছর ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্বের’ এক দশকপূর্তি পালন করছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যেন বৃহৎ প্রতিবেশী চীনকে শত্রুভাবাপন্ন করে না তোলে, সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে হ্যানয়। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ভিয়েতনামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশটির মানবাধিকার রেকর্ড বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হ্যানয় সরকারের ভিন্নমতে অসহিষ্ণুতা এবং বিরোধীদের নিয়মিত জেলে পাঠানো ও হয়রানি করা নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনাও আছে। ফোনালাপে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের জোট আসিয়ানের কেন্দ্রিকতা, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপরও বাইডেন জোর দিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বছর ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু দুই পরাশক্তি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে নানান ইস্যুতে তুমুল উত্তেজনা চলাকালে চীন এ পদক্ষেপকে বৈরি হিসেব দেখতে পারে এমন উদ্বেগ থেকে মার্কিন ওই প্রচেষ্টা হ্যানয়ের ভেতরেই তুমুল প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের।
“দুই নেতা সম্পর্ক আরও উন্নত করার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা করতে দুই পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দায়িত্ব দেবেন,” বলা হয়েছে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা নান দানের প্রতিবেদনে। ভিয়েতনামের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ত্রং এবং বাইডেন একে অপরকে নিজ নিজ দেশ সফরে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন, বলেছে নান দান। বারাক ওবামা ও ডনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন তখন ত্রং তাদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। “ভিয়েতনাম ধারাবাহিকভাবে স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, শান্তি, বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, বৈচিত্রতা ও সম্পর্কের বহুপাক্ষিকীকরণ, ক্রিয়াশীল ও সক্রিয় বৈশ্বিক মিলনের বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে যাবে,” ফোনালাপে ত্রং এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে নান দান। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নজিরবিহীন তৃতীয় মেয়াদের জন্য চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ত্রং প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে বেইজিংয়ে গিয়ে প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।