ক্রীড়া ডেস্ক : বিসিবি সেন্ট্রাল জোনের জন্য লড়াইটা ছিল টিকে থাকার। কাগজে-কলমে তাদের আশা বেঁচে ছিল, তবে আগের দুই ম্যাচে হারে ছিটকে গিয়েছিল অনেকটাই। এমন ম্যাচেও বিসিবি নর্থ জোনের বিপক্ষে মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়া কেউই লড়তে পারেননি। তার সেঞ্চুরির পরও চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায়নি সেন্ট্রাল জোন। শাহাদাত হোসেন দিপুর সেঞ্চুরির সাথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৯৬ রানের ইনিংসে সহজ জয় পেয়েছে নর্থ জোন। তারা পৌঁছে গেছে ফাইনালেও। বুধবার বিসিএলের ম্যাচে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে মিঠুনের অপরাজিত ১২১ রানে ৮ উইকেটে ২২৮ রানের সংগ্রহ পায় সেন্ট্রাল জোন। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানেই হারায় ৫ উইকেট হারায় বিসিবি সেন্ট্রাল জোন। এরপর ভালো সঙ্গী না পেলেও মিঠুন টেনে নেন সেন্ট্রাল জোনকে। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলি অনিকের সাথে যোগ করেন ৬৮ রান। শেষদিকে নবম উইকেট জুটিতেও হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৪৬ রানে অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন মিঠুন। ১১৪ বলে ১০ চার ৬ ছক্কায় ১২১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১২ বলে ৩ চারে হাসান অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। দলের পক্ষে এটি দ্বিতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। বিসিবি নর্থ জোনের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও সৈকত আলি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নর্থ জোনও। ওই জায়গা থেকেই মাহমুদউল্লাহ-দিপু গড়েন ১৮১ রানের জুটি। দলকে জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে রেখে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। শান্তর বলে স্টাম্পড হয়ে হতাশ হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অল্পের জন্য পাননি সেঞ্চুরি। ৯৮ বলে ৮ চার ৪ ছক্কায় ৯৬ রানের ইনিংসটি সাজান মাহমুদউল্লাহ। দলের জয় থেকে ২ রান দূরত্বে ফেরেন দিপুও। কিন্তু তার আগেই সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ১৫১ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় তার নামের পাশে ১০১ রান। ১৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে বিসিবি সাউথ জোনের সাথে ফাইনাল নিশ্চিত হয় বিসিবি নর্থ জোনেরও। আগামী ২৭ নভেম্বর মিরপুরে হবে দিবা-রাত্রির ফাইনাল।