ক্রীড়া প্রতিবেদক : রিশাদ হাসানের বল স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে আরো ১ রান নিলেন সৌম্য সরকার। ৯৯ থেকে তার রান পৌঁছে গেল সেঞ্চুরিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ওয়ালটনের জার্সিতে এটি সৌম্যর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। অথচ বিসিবি সাউথ জোনের বিপক্ষে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যখন ব্যাটিং শুরু করেন তখন দলের অবস্থা ভালো ছিল না। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাউথ জোনের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৩ রান তুলতেই দুই ওপেনারকে হারায় ওয়ালটন সেন্ট্রাল। মিজানুর ও মিঠুনকে দিনের শুরুতেই আটকে দেন নাসুম আহমেদ। সেখান থেকে অপ্রতিরোধ্য সৌম্যর লড়াই শুরু। প্রথম দিকের বিপর্যয় কাটিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরপর দারুণ ব্যাটিংয়ে দিনটা নিজের করে নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম দিন শেষে অপরাজিত থেকে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন তখন সৌম্যর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১২৮ রান। তার অনবদ্য সেঞ্চুরি এবং শুভাগত হোম ও সালমানের ফিফটিতে ওয়ালটনের রান ৪ উইকেটে ২৯৩। সৌম্যর সঙ্গে ৬২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক শুভাগত। সালমানের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। শুরুতে ২ উইকেট হারানোর পর সৌম্য আর সালমানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়ালটন। প্রথম সেশন দুজনে কাটিয়ে দেন অনায়াসে। দ্বিতীয় সেশনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে এগোচ্ছিলেন তিন অঙ্কের দিকে। তাদের ব্যাটে হাসছিল ওয়ালটনের স্কোরবোর্ডও।
কিন্তু চা বিরতির ঠিক আগে লেগ স্পিনার রিশাদে পথ ভোলেন সালমান। একটু নিচু হওয়া বলে ব্যাট নামাতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে রিশাদের স্পিনে এলবিডব্লিউ তাইবুর। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়া ওয়ালটন উদ্ধার হয় সৌম্য ও শুভাগতর জুটিতে। এ সময়ে সৌম্য পেয়ে যান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ২০৫ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে পেয়ে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার। এর আগে প্রথম রাউন্ডে চট্টগ্রামেই ১০৪ রান করেছিলেন বিসিবি নর্থ জোনের বিপক্ষে। সৌম্য-শুভাগতর জুটিতে কোনো ফাটল ধরাতে পারেননি নাসুম-রিশাদরা। মাত্র ৭৬ বলে ৮ চারে অর্ধশতক তুলে নেন শুভাগত। শেষ পর্যন্ত ৮৮ বলে ৯ চারে ৬২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১১৬ রান। সাউথ জোনের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাসুম ও রিশাদ। শুরুতে নাসুম আর মাঝে রিশাদের ভেল্কিতে ভিন্ন কিছুর সম্ভাবনা দেখালেও সৌম্যদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে দিনটি পুরোপুরি ওয়ালটনের।