প্রযুক্তি ডেস্ক : আগামীতে মেটাভার্সে পা রাখবে মিকি মাউস। ওয়াল্ট ডিজনি প্রধান নির্বাহী বব চাপেক জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বিশ্বে পা রাখার প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান।
ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ মেটাভার্সের নাম নেওয়ার পর থেকেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে বিষয়টি। জাকারবার্গ শুধু এর নামই নেননি, জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতও হবে এটি। ফেইসবুকের মূল প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মেটা’ রেখেছেন তিনি। জাকারবার্গের পরিকল্পনা হলো শক্তিশালী ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল’ পরিবেশ তৈরির, যেখানে নিজ নিজ ডিজিটাল অ্যাভাটার নিয়ে কাজ করতে, গল্প করতে এবং নিজেদের অন্যান্য শখ পূরণ করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা
ফেসবুক বাদেও ভিডিও গেইম নির্মাতা রোব্লক্স কর্পোরেশন ও এপিক গেইমস এবং সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট কাজ করছে নিজ নিজ মেটাভার্স সংস্করণ নিয়ে। ডিজনি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি। শুধু জানিয়েছ, মেটাভার্সে তারা আসছে।
গত বুধবার ডিজনি প্রধান চাপেক বিনিয়োগকারীদের বলেন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ডিজনির। ফলে নতুন এই ডিজিটাল সীমান্তে পা রাখা তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রায় এক শতক আগে প্রথম সবাক কার্টুন ‘স্টিমবোট উইলি’ ডিজনিই নিয়ে এসেছিল।
সিএনবিসি’কে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে চাপেক জানান, তিনি নতুন এ বিষয়টিকে ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা ডিজনি প্লাসকে ‘থ্রি-ডাউমেনশনাল ক্যানভাসে’ ছড়িয়ে দেওয়া হিসেবে দেখছেন। নতুন ধরনের গল্প বলার উপায়ও মনে করছেন একে। মেটাভার্সে থিম পার্ক তৈরির ব্যাপারে ডিজনির ডিজিটাল বিভাগের সাবেক নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট তিলাক মান্ডাডি ২০২০ সালেই লিংকডইনে লিখেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, পরিধেয় ডিভাইস, স্মার্টফোন ও ডিজিটাল প্রবেশাধিকার পয়েন্টের মাধ্যমে “সেখানে এক হয়ে যাবে বাস্তব ও ডিজিটাল বিশ্ব”।
ডিজনির সব ডিজিটাল উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ারও নজির রয়েছে। যেমন- ২০১৭ সালে ইতি ১১ বছর পর ইতি টানা হয়েছিল ডিজনির শিশু সামাজিক নেটওয়ার্ক ‘ক্লাব পেঙ্গুইনের’।
মিকি মাউস নিয়ে মেটাভার্সে আসার প্রস্তুতিতে ডিজনি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ