ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

মা-বাবার সঙ্গে স্ত্রী থাকবে নিঃশর্ত ভালোবাসায়

  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে বিষণ্নতা ঘিরে ধরতে পারে, থমকে যেতে পারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হতাশার এই সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা সাহায্য করতে পারে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। আনন্দময় জীবিকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অধিকাংশ মানুষ পেশাগত জীবনে ব্যর্থ্য হন অথবা নিজের অপছন্দের পেশায় জীবন কাটান নিজের ভাগ্যকে অভিসম্পাত করতে করতে। আমরা শৈশব থেকে শুধু প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার উপরেই জোর দিতে শিখি। ফলে আমাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয় না এবং আমাদের প্যাশন ও পেশার মিল হয় না।
হতাশার কারণে আপনার স্বামী এই মুহূর্তে হীনম্মন্যতায় ভুগছেন। ওনার জীবনের এই ক্রান্তিকালকে প্রশিক্ষণকাল হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাই উভয়ের উপকারের জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। তা হলোÑ
মাইন্ডফুল মেডিটেশন: বর্তমান মুহূর্ত ও পরিবেশকে সব ইন্দ্রিয় দিয়ে পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করুন।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ: মনে মনে ১ থেকে ৪ গুনতে গুনতে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন। তারপর মনে মনে ১ থেকে ৪ গুনতে গুনতে শ্বাস ধরে রাখুন। তারপর মনে মনে ১ থেকে ৬ গুনতে গুনতে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস ছাড়ার সময় পেটের মাংসপেশি শক্ত করে পেট ভেতরের দিকে যথাসম্ভব টেনে রাখুন।
নিজের অনুভূতির মূল্যায়ন: নিজের মধ্যে ইতিবাচক, নেতিবাচক যে অনুভূতিই আসুক না কেন সেটাকে পরিপূর্ণভাবে আলিঙ্গন করুন।
লাভিং কাইন্ডনেস: নিজের এবং অন্যদের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা ও সহানুভূতি চর্চা করুন। আপনার ইচ্ছাশক্তি ও ইতিবাচক মনোভাব প্রবল হলে আপনার স্বামীর মধ্যে তা সঞ্চালিত হবে।
অপেক্ষা করুন: আপনার মধ্েয যুক্তি ও আবেগ, কোনটির প্রভাব কেমন তা বোঝার জন্য সময় নিন। জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যখনই দ্বিধা অনুভব করবেন, তখনই বুঝতে হবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যথাযথ সময় এখনও আসেনি। সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিকভাবে, যা কিছু সমস্যা মনে হয় তা একসময় জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে স্থিতিশীল হয়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। নিজের জন্য সময় বের করুন।
আত্মসমালোচনা থেকে বিরত থাকুন: নিজের কোনো অনুভূতি বা আবেগের জন্য নিজেকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। ভালোমন্দ বৈশিষ্ট্যসহ আপনি যেরকম, ঠিক সেরকম ভাবেই নিজেকে আত্মস্থ করুন।
মেডিটেশন ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন: মেডিটেশন এবং ব্রিদিং এক্সারসাইজ আপনার মানসিক চাপ কমাতে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মা-বাবার সঙ্গে স্ত্রী থাকবে নিঃশর্ত ভালোবাসায়

আপডেট সময় : ০৫:০৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে বিষণ্নতা ঘিরে ধরতে পারে, থমকে যেতে পারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হতাশার এই সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা সাহায্য করতে পারে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। আনন্দময় জীবিকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অধিকাংশ মানুষ পেশাগত জীবনে ব্যর্থ্য হন অথবা নিজের অপছন্দের পেশায় জীবন কাটান নিজের ভাগ্যকে অভিসম্পাত করতে করতে। আমরা শৈশব থেকে শুধু প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার উপরেই জোর দিতে শিখি। ফলে আমাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয় না এবং আমাদের প্যাশন ও পেশার মিল হয় না।
হতাশার কারণে আপনার স্বামী এই মুহূর্তে হীনম্মন্যতায় ভুগছেন। ওনার জীবনের এই ক্রান্তিকালকে প্রশিক্ষণকাল হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাই উভয়ের উপকারের জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। তা হলোÑ
মাইন্ডফুল মেডিটেশন: বর্তমান মুহূর্ত ও পরিবেশকে সব ইন্দ্রিয় দিয়ে পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করুন।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ: মনে মনে ১ থেকে ৪ গুনতে গুনতে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন। তারপর মনে মনে ১ থেকে ৪ গুনতে গুনতে শ্বাস ধরে রাখুন। তারপর মনে মনে ১ থেকে ৬ গুনতে গুনতে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস ছাড়ার সময় পেটের মাংসপেশি শক্ত করে পেট ভেতরের দিকে যথাসম্ভব টেনে রাখুন।
নিজের অনুভূতির মূল্যায়ন: নিজের মধ্যে ইতিবাচক, নেতিবাচক যে অনুভূতিই আসুক না কেন সেটাকে পরিপূর্ণভাবে আলিঙ্গন করুন।
লাভিং কাইন্ডনেস: নিজের এবং অন্যদের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা ও সহানুভূতি চর্চা করুন। আপনার ইচ্ছাশক্তি ও ইতিবাচক মনোভাব প্রবল হলে আপনার স্বামীর মধ্যে তা সঞ্চালিত হবে।
অপেক্ষা করুন: আপনার মধ্েয যুক্তি ও আবেগ, কোনটির প্রভাব কেমন তা বোঝার জন্য সময় নিন। জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যখনই দ্বিধা অনুভব করবেন, তখনই বুঝতে হবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যথাযথ সময় এখনও আসেনি। সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিকভাবে, যা কিছু সমস্যা মনে হয় তা একসময় জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে স্থিতিশীল হয়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। নিজের জন্য সময় বের করুন।
আত্মসমালোচনা থেকে বিরত থাকুন: নিজের কোনো অনুভূতি বা আবেগের জন্য নিজেকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। ভালোমন্দ বৈশিষ্ট্যসহ আপনি যেরকম, ঠিক সেরকম ভাবেই নিজেকে আত্মস্থ করুন।
মেডিটেশন ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন: মেডিটেশন এবং ব্রিদিং এক্সারসাইজ আপনার মানসিক চাপ কমাতে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।