ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা সেই দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবির ঘটনায় আটক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান এবং কনস্টেবল আহসান উল ফারুককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বরখাস্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
রংপুর সিআইডি পুলিশের এসপি আতাউর রহমান দুই পুলিশ সদস্যের বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের ওপর এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি নির্ভর করছে।
রংপুর সিআইডির সোর্স পলাশ চিরিরবন্দর উপজলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দারাই গ্রামের গাদুশা পাড়ার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযাগ করেন। তার অভিযাগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড় নয়টার দিকে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক, পুলিশের সোর্স সফিউল আলম পলাশ এবং মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া লুৎফরের বাড়িতে যায়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে কালো মাইক্রাবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
দুজনকে অপহরণ করা হয়েছে এমন দাবি করে বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানানো হলে প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার দশ মাইল এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত এবং ২০ ঘণ্টা পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে রংপুর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সারোয়ার কবির সোহাগ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক হাবিবকে আটক করা হয়। অপহরণে জড়িত সন্দেহে পরবর্তীতে ফসিউল আলম পলাশ নামে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গত বুধবার চিরিরবন্দর থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি দিনাজপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। মামলাটিতে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকালে পাঁচজনকে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় মামলার অন্যতম আসামি ফসিউল আলম পলাশের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর পাঁচজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদালত সেই সঙ্গে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভুক্তভোগী মা জহুরা খাতুন এবং আরও দুই সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা সেই দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

আপডেট সময় : ১২:০৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবির ঘটনায় আটক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান এবং কনস্টেবল আহসান উল ফারুককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বরখাস্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
রংপুর সিআইডি পুলিশের এসপি আতাউর রহমান দুই পুলিশ সদস্যের বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের ওপর এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি নির্ভর করছে।
রংপুর সিআইডির সোর্স পলাশ চিরিরবন্দর উপজলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দারাই গ্রামের গাদুশা পাড়ার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযাগ করেন। তার অভিযাগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড় নয়টার দিকে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক, পুলিশের সোর্স সফিউল আলম পলাশ এবং মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া লুৎফরের বাড়িতে যায়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে কালো মাইক্রাবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
দুজনকে অপহরণ করা হয়েছে এমন দাবি করে বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানানো হলে প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার দশ মাইল এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত এবং ২০ ঘণ্টা পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে রংপুর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সারোয়ার কবির সোহাগ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক হাবিবকে আটক করা হয়। অপহরণে জড়িত সন্দেহে পরবর্তীতে ফসিউল আলম পলাশ নামে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গত বুধবার চিরিরবন্দর থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি দিনাজপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। মামলাটিতে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকালে পাঁচজনকে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় মামলার অন্যতম আসামি ফসিউল আলম পলাশের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর পাঁচজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদালত সেই সঙ্গে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভুক্তভোগী মা জহুরা খাতুন এবং আরও দুই সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে