ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫

মাহে রমজানের ৭ম দিবস আজ

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আজ শুক্রবার পবিত্র জুমার দিনে মাহে রমজানের ৭ম দিবস। রমজানের প্রথম দশ দিনকে ‘রহমতের দশক’ বলা হয়। এ সময় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অসীম দয়া ও করুণা বর্ষণ করেন। রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজানের প্রধান ইবাদত ‘সিয়াম’ বা রোজা রাখা। রমজানের মূল প্রতিপাদ্য ‘আলকোরআন’। সিয়াম বহুবচন। এর একবচন হলো ‘সাওম’, যার অর্থ বিরত থাকা।

ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওম বা সিয়ামকে ‘রোজা’ বলা হয়। পবিত্র হাদিসে বলা হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম অংশ রহমত, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাত, আর তৃতীয় অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ১/৫৮৫) এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, প্রথম দশকের সময়টিতে মুসলমানদের জন্য আল্লাহর দয়া ও করুণার দ্বার অবারিত থাকে। রমজানে সৎ কাজ করলে অন্য সময়ের তুলনায় বহুগুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

আল্লাহ তাআলা বলেন, রমজান মাস, যে মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও ন্যায় বিচারের মানদণ্ড। (সুরা আল-বাকারা: ১৮৫) ফলে প্রথম দশকেই বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়। রমজানের প্রধান লক্ষ্য হলো তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা। কুরআনে বলা হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। (সুরা আল-বাকারা: ১৮৩) তাই প্রথম দশকের সময়টাই সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত পাওয়ার শ্রেষ্ঠ সুযোগ।

রমজানের প্রথম দশকে যারা আল্লাহর রহমত পাওয়ার জন্য বেশি বেশি ইবাদত ও তওবা করে, তাদের গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং জান্নাতের পথে সহজ প্রবেশাধিকার লাভ করে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব সাধারণ সময়ের তুলনায় ২৭ গুণ বেশি হয়। তাই প্রথম দশকে যত বেশি ইবাদত করা যায়, তত বেশি লাভবান হওয়া যায়। প্রথম দশকেই বান্দারা বেশি করে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। বিশেষ করে, ইফতারের সময় দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। জাহান্নামের দরজা বন্ধ, জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন,রমজান মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। (সহিহ বুখারি: ১৮৯৯)
করণীয় সমূহ হলো-
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা।
কুরআন তিলাওয়াত করা ও অর্থসহ বুঝার চেষ্টা করা।
অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার ও তওবা করা।
দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করা, দান-সদকা করা।
সেহরি ও ইফতারে সুন্নত অনুসরণ করা।
অশ্লীলতা, মিথ্যা, গিবত, রাগ ও অহংকার পরিহার করা।
তাহাজ্জুদ নামাজ ও দোয়া-ইস্তেগফারের অভ্যাস গড়ে তোলা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাহে রমজানের ৭ম দিবস আজ

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : আজ শুক্রবার পবিত্র জুমার দিনে মাহে রমজানের ৭ম দিবস। রমজানের প্রথম দশ দিনকে ‘রহমতের দশক’ বলা হয়। এ সময় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অসীম দয়া ও করুণা বর্ষণ করেন। রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজানের প্রধান ইবাদত ‘সিয়াম’ বা রোজা রাখা। রমজানের মূল প্রতিপাদ্য ‘আলকোরআন’। সিয়াম বহুবচন। এর একবচন হলো ‘সাওম’, যার অর্থ বিরত থাকা।

ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওম বা সিয়ামকে ‘রোজা’ বলা হয়। পবিত্র হাদিসে বলা হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম অংশ রহমত, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাত, আর তৃতীয় অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ১/৫৮৫) এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, প্রথম দশকের সময়টিতে মুসলমানদের জন্য আল্লাহর দয়া ও করুণার দ্বার অবারিত থাকে। রমজানে সৎ কাজ করলে অন্য সময়ের তুলনায় বহুগুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

আল্লাহ তাআলা বলেন, রমজান মাস, যে মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও ন্যায় বিচারের মানদণ্ড। (সুরা আল-বাকারা: ১৮৫) ফলে প্রথম দশকেই বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়। রমজানের প্রধান লক্ষ্য হলো তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা। কুরআনে বলা হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। (সুরা আল-বাকারা: ১৮৩) তাই প্রথম দশকের সময়টাই সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত পাওয়ার শ্রেষ্ঠ সুযোগ।

রমজানের প্রথম দশকে যারা আল্লাহর রহমত পাওয়ার জন্য বেশি বেশি ইবাদত ও তওবা করে, তাদের গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং জান্নাতের পথে সহজ প্রবেশাধিকার লাভ করে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব সাধারণ সময়ের তুলনায় ২৭ গুণ বেশি হয়। তাই প্রথম দশকে যত বেশি ইবাদত করা যায়, তত বেশি লাভবান হওয়া যায়। প্রথম দশকেই বান্দারা বেশি করে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। বিশেষ করে, ইফতারের সময় দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। জাহান্নামের দরজা বন্ধ, জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন,রমজান মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। (সহিহ বুখারি: ১৮৯৯)
করণীয় সমূহ হলো-
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা।
কুরআন তিলাওয়াত করা ও অর্থসহ বুঝার চেষ্টা করা।
অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার ও তওবা করা।
দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করা, দান-সদকা করা।
সেহরি ও ইফতারে সুন্নত অনুসরণ করা।
অশ্লীলতা, মিথ্যা, গিবত, রাগ ও অহংকার পরিহার করা।
তাহাজ্জুদ নামাজ ও দোয়া-ইস্তেগফারের অভ্যাস গড়ে তোলা।