ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তাঁকে আপাতত হাসপাতালে থেকে বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মাহাথিরের মেয়ে এসব তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মাহাথির। অসুস্থ হয়ে তিনি বর্তমানে দেশটির ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
মেয়ে মেরিনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৯৬ বছর বয়সী মাহাথিরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমনকি মজাও করছেন।
মাহাথির তাঁর স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে মানুষজনকে খুব বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে মেরিনা।
হাসপাতালে ভর্তির পর বিভিন্ন দেশের নেতা ও জনগণ মাহাথিরের আরোগ্য কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে মেরিনা বলেছেন, যাঁরা মাহাথিরের দ্রুত আরোগ্য চেয়ে প্রার্থনা করেছেন, তাঁর জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতি মাহাথি ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
গত ডিসেম্বরে একই হাসপাতালে মাহাথিকে ভর্তি করা হয়েছিল। সে মাসেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৮ জানুয়ারি আবার তাঁকে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখন তিনি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মাহাথির আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল।
মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এখন কী কী শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাহাথিরের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁর মুখপাত্র ও মেয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে মাহাথির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালে ৯২ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে আবার প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। একসময় যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি, সেই দলের বিরুদ্ধে গড়া জোটের নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে অন্তর্কোন্দলের জেরে দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করলে সরকার ভেঙে যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তাঁকে আপাতত হাসপাতালে থেকে বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মাহাথিরের মেয়ে এসব তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মাহাথির। অসুস্থ হয়ে তিনি বর্তমানে দেশটির ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
মেয়ে মেরিনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৯৬ বছর বয়সী মাহাথিরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমনকি মজাও করছেন।
মাহাথির তাঁর স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে মানুষজনকে খুব বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে মেরিনা।
হাসপাতালে ভর্তির পর বিভিন্ন দেশের নেতা ও জনগণ মাহাথিরের আরোগ্য কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে মেরিনা বলেছেন, যাঁরা মাহাথিরের দ্রুত আরোগ্য চেয়ে প্রার্থনা করেছেন, তাঁর জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতি মাহাথি ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
গত ডিসেম্বরে একই হাসপাতালে মাহাথিকে ভর্তি করা হয়েছিল। সে মাসেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৮ জানুয়ারি আবার তাঁকে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখন তিনি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মাহাথির আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল।
মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এখন কী কী শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাহাথিরের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁর মুখপাত্র ও মেয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে মাহাথির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালে ৯২ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে আবার প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। একসময় যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি, সেই দলের বিরুদ্ধে গড়া জোটের নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে অন্তর্কোন্দলের জেরে দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করলে সরকার ভেঙে যায়।