ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

মাস্ক ফিরল ভারতের সংসদে

  • আপডেট সময় : ১২:২৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের বিএফ.৭ উপধরন নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটির সরকার। গত বুধবার এ নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থরা। এবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশটির সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ফিরে এলো মাস্ক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালসহ অনেক মন্ত্রী, সাংসদকেই মাস্ক পরে অধিবেশনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় করোনাবিধি অনুসরণ করার জন্য কেন্দ্রের বার্তার পরেই দেখা গেল এই তৎপরতা। দুই দিন আগে রাহুল ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মা-বীয় ভারত জোড়ো যাত্রায় করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও সে সময় পর্যন্ত সংসদ অধিবেশনে শাসক দলের মন্ত্রী-সাংসদদের করোনাবিধি মানার কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি। এদিকে আজ বিকেলে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারতের গুজরাট ও ওডিশা রাজ্যে বিএফ.৭ উপধরন উপধরনে আক্রান্ত চারজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চীনে এই উপধরনের বাড়বাড়ন্ত দেখে তৎপর হয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার এ নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থরা। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, অক্টোবর-নভেম্বরে অমিক্রনের বিএফ.১২ উপধরনও শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। বাসায় আইসোলেশনে রেখে যাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। জুলাইতে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিল বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।ভারতে বর্তমানে কোভিড বিধিনিষেধ পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের সব বিমানবন্দরে দৈবচয়নের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।বিশেষজ্ঞ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মা-বীয় বলেন, ‘কোভিড এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাস্ক ফিরল ভারতের সংসদে

আপডেট সময় : ১২:২৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের বিএফ.৭ উপধরন নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটির সরকার। গত বুধবার এ নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থরা। এবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশটির সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ফিরে এলো মাস্ক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালসহ অনেক মন্ত্রী, সাংসদকেই মাস্ক পরে অধিবেশনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় করোনাবিধি অনুসরণ করার জন্য কেন্দ্রের বার্তার পরেই দেখা গেল এই তৎপরতা। দুই দিন আগে রাহুল ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মা-বীয় ভারত জোড়ো যাত্রায় করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও সে সময় পর্যন্ত সংসদ অধিবেশনে শাসক দলের মন্ত্রী-সাংসদদের করোনাবিধি মানার কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি। এদিকে আজ বিকেলে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারতের গুজরাট ও ওডিশা রাজ্যে বিএফ.৭ উপধরন উপধরনে আক্রান্ত চারজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চীনে এই উপধরনের বাড়বাড়ন্ত দেখে তৎপর হয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার এ নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থরা। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, অক্টোবর-নভেম্বরে অমিক্রনের বিএফ.১২ উপধরনও শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। বাসায় আইসোলেশনে রেখে যাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। জুলাইতে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিল বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।ভারতে বর্তমানে কোভিড বিধিনিষেধ পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের সব বিমানবন্দরে দৈবচয়নের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।বিশেষজ্ঞ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মা-বীয় বলেন, ‘কোভিড এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।’