ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

মাস্ক না পরায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা

  • আপডেট সময় : ০২:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬০ বছরের ওপরে যাদের বয়স এবং ফ্রন্ট লাইনাররা-এখন থেকে দুই ডোজের টিকার কার্ড নিয়ে গেলে বুস্টার ডোজ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপের মাধ্যমে তা শুরু হবে আগেরগুলোর মতো। এখন তা নিয়ে কাজ করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।’ গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জাহিদ মালেক। সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে। সংক্রমণ কমে গেছে। এটা ধরে রাখতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি, যা শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি, শতকরা হিসাবে তা ৩০ ভাগ।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের টার্গেট ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া। এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৩০ ভাগ মানুষকে।’
করোনা টিকার বুস্টার ডোজ সবাইকে দিতে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন সীমিত আকারে দেয়া হচ্ছে ফ্রন্টলাইনারদের। টিকাগ্রহণের কার্ড নিয়ে ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনাররা টিকা দিতে পারবেন। এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপসের মাধ্যমে তা শুরু হবে আগেরগুলোর মত। এখন তা নিয়ে কাজ করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।’
মাস্ক না পরায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা : জাহিদ মালেক বলেন কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মানুষ মাস্ক না পরায় করোনা (নতুন ধরন ওমিক্রন) সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ‘ওমিক্রন বিশ্বের ৯০টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশেও ধরা পড়েছে। কিন্তু মানুষ মাস্ক পরছে না এবং স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। এ জন্য ওমিক্রন বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার। সারাদেশের মানুষ যাতে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, এ জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’ সচিবালয়ে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মাস্ক না পরেই ভিড় করছেন, রাজনৈতিক সমাবেশেও মাস্ক পরছে না মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ দেশে এখনও ওমিক্রন ছড়ায়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশের মানুষ যাতে আগের মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এজন্য জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’ এ পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ ৭ কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষকে। ৩৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা একটা বড় কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।’ ‘বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে। এখন যে সংক্রমণ কমে গেছে এটা ধরে রাখতে হবে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স নেবে তারা।’ আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও মালদ্বীপ যাবেন। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিতে চায় মালদ্বীপ। এই সফরে এ ব্যাপারে চুক্তি করবে দুই দেশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাস্ক না পরায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা

আপডেট সময় : ০২:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬০ বছরের ওপরে যাদের বয়স এবং ফ্রন্ট লাইনাররা-এখন থেকে দুই ডোজের টিকার কার্ড নিয়ে গেলে বুস্টার ডোজ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপের মাধ্যমে তা শুরু হবে আগেরগুলোর মতো। এখন তা নিয়ে কাজ করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।’ গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জাহিদ মালেক। সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে। সংক্রমণ কমে গেছে। এটা ধরে রাখতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি, যা শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি, শতকরা হিসাবে তা ৩০ ভাগ।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের টার্গেট ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া। এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৩০ ভাগ মানুষকে।’
করোনা টিকার বুস্টার ডোজ সবাইকে দিতে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন সীমিত আকারে দেয়া হচ্ছে ফ্রন্টলাইনারদের। টিকাগ্রহণের কার্ড নিয়ে ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনাররা টিকা দিতে পারবেন। এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপসের মাধ্যমে তা শুরু হবে আগেরগুলোর মত। এখন তা নিয়ে কাজ করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।’
মাস্ক না পরায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা : জাহিদ মালেক বলেন কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মানুষ মাস্ক না পরায় করোনা (নতুন ধরন ওমিক্রন) সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ‘ওমিক্রন বিশ্বের ৯০টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশেও ধরা পড়েছে। কিন্তু মানুষ মাস্ক পরছে না এবং স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। এ জন্য ওমিক্রন বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার। সারাদেশের মানুষ যাতে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, এ জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’ সচিবালয়ে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মাস্ক না পরেই ভিড় করছেন, রাজনৈতিক সমাবেশেও মাস্ক পরছে না মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ দেশে এখনও ওমিক্রন ছড়ায়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশের মানুষ যাতে আগের মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এজন্য জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’ এ পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ ৭ কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষকে। ৩৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা একটা বড় কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।’ ‘বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে। এখন যে সংক্রমণ কমে গেছে এটা ধরে রাখতে হবে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স নেবে তারা।’ আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও মালদ্বীপ যাবেন। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিতে চায় মালদ্বীপ। এই সফরে এ ব্যাপারে চুক্তি করবে দুই দেশ।