ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

মাশরাফি-তামিমদের অনুশীলনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের বাগড়া

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : হালকা ওয়ার্মআপের পর ফুটবল দিয়ে শুরু হলো মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অনুশীলন। একটি নেটে তামিম ইকবাল সামলাচ্ছিলেন পেস বোলারদের, আরেকটিতে মোহাম্মদ শাহজাদ খেলছিলেন স্পিনারদের। বাকিরা ব্যস্ত ফিল্ডিং অনুশীলনে। এমন সময় হুট করে সেখানে নামল একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। নিরাপদ জায়গায় যেতে ছুটাছুটি লেগে গেল ক্রিকেটারদের। অ্যাম্বুলেন্সটি কোথায় নামবে বুঝতে পেরে সতীর্থদের সরে যেতে বলছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রচুর ধুলো, মরা ঘাস উড়িয়ে চারপাশ অন্ধকার করে রোববার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বেলা একটার পরপর মাঠে নামে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। একজন মাঠকর্মীকে দেখা যায় পতাকা উড়িয়ে ইশারা করতে, কোথায় নামতে হবে। পাইলট হয়ত তা বুঝতে পারেননি। নামান খেলোয়াড়দের জটলার ঠিক মাঝে। উত্তেজিত এক মাঠকর্মী তেড়ে যান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামা লোকজনের দিকে। কিছুক্ষণ বাগবিত-ার পর ওই মাঠকর্মী সাংবাদিকদের জানান, একটু আগেই মাঠে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার খবর পান তারা। কথা ছিল নামবে খেলোয়াড়দের অনুশীলন থেকে দূরে, যেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা না জাগে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক শাহবুদ্দিন শামীম জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার অনুমতি ছিলই। তবে পাইলট মাঠের ভুল জায়গায় নামায় অনুশীলনে এই বিপত্তি হয়েছে। মিডিয়া গেট প্রান্ত দিয়ে স্কয়ারের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয় রোগীকে। মিনিট বিশেক পর তাকে নিয়ে উড়াল দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। রোগী আসার খবর পেয়ে শান্তই ছিলেন ক্রিকেটাররা। মহামারীকালে সবাই সুরক্ষার জন্য নিরাপদ দূরত্বে থেকে দেখছিলেন কি হচ্ছে না হচ্ছে। শুধু তামিম ও শাহজাদ দাঁড়িয়ে ছিলেন নেটেই। মজা করে মাশরাফিকে আফগান ওপেনার শাহজাদ বলছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন হেলিকপ্টার থেকে নেমে কেউ তাকে বোলিং করবে। তবে ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে চুপ করে যান তিনিও।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাশরাফি-তামিমদের অনুশীলনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের বাগড়া

আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : হালকা ওয়ার্মআপের পর ফুটবল দিয়ে শুরু হলো মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অনুশীলন। একটি নেটে তামিম ইকবাল সামলাচ্ছিলেন পেস বোলারদের, আরেকটিতে মোহাম্মদ শাহজাদ খেলছিলেন স্পিনারদের। বাকিরা ব্যস্ত ফিল্ডিং অনুশীলনে। এমন সময় হুট করে সেখানে নামল একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। নিরাপদ জায়গায় যেতে ছুটাছুটি লেগে গেল ক্রিকেটারদের। অ্যাম্বুলেন্সটি কোথায় নামবে বুঝতে পেরে সতীর্থদের সরে যেতে বলছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রচুর ধুলো, মরা ঘাস উড়িয়ে চারপাশ অন্ধকার করে রোববার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বেলা একটার পরপর মাঠে নামে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। একজন মাঠকর্মীকে দেখা যায় পতাকা উড়িয়ে ইশারা করতে, কোথায় নামতে হবে। পাইলট হয়ত তা বুঝতে পারেননি। নামান খেলোয়াড়দের জটলার ঠিক মাঝে। উত্তেজিত এক মাঠকর্মী তেড়ে যান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামা লোকজনের দিকে। কিছুক্ষণ বাগবিত-ার পর ওই মাঠকর্মী সাংবাদিকদের জানান, একটু আগেই মাঠে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার খবর পান তারা। কথা ছিল নামবে খেলোয়াড়দের অনুশীলন থেকে দূরে, যেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা না জাগে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক শাহবুদ্দিন শামীম জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার অনুমতি ছিলই। তবে পাইলট মাঠের ভুল জায়গায় নামায় অনুশীলনে এই বিপত্তি হয়েছে। মিডিয়া গেট প্রান্ত দিয়ে স্কয়ারের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয় রোগীকে। মিনিট বিশেক পর তাকে নিয়ে উড়াল দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। রোগী আসার খবর পেয়ে শান্তই ছিলেন ক্রিকেটাররা। মহামারীকালে সবাই সুরক্ষার জন্য নিরাপদ দূরত্বে থেকে দেখছিলেন কি হচ্ছে না হচ্ছে। শুধু তামিম ও শাহজাদ দাঁড়িয়ে ছিলেন নেটেই। মজা করে মাশরাফিকে আফগান ওপেনার শাহজাদ বলছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন হেলিকপ্টার থেকে নেমে কেউ তাকে বোলিং করবে। তবে ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে চুপ করে যান তিনিও।