ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

মালির অন্তর্র্বতী সরকারের নতুন প্রেসিডেন্ট আসিমি গোইতা

  • আপডেট সময় : ১১:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালির অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্নেল আসিমি গোইতার নাম ঘোষণা করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
গত বছরের অগাস্টে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের অন্যতম গোইতা সপ্তাহখানেক আগেও অন্তর্র্বতী সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন
মন্ত্রিসভায় এক রদবদলের পর গত সপ্তাহে তার নির্দেশেই অন্তর্র্বতী প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোক্তার উয়ানকে আটক করা হয়েছিল।
আটক অবস্থাতে গত বুধবার এনদাও আর উয়ান পদত্যাগ করেন; এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সাংবিধানিক আদালত নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোইতার পক্ষে রায় দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অন্তর্র্বতী সরকারের নেতৃত্বে এ রদবদলের ঘটনা দেশটির গণতন্ত্রে ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে গত রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর নেতারা ঘানাতে এক জরুরি বৈঠকেও বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
কেইতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গত বছর ১৫ দেশের জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকা (ইকোওয়াস) মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া অন্তর্র্বতী সরকার বেসামরিক নেতৃত্বে পরিচালিত হবে, এমন আশ্বাস পেয়ে ইকোওয়াস গত অক্টোবরে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। গোইতা অন্তর্র্বতী সরকারের নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশগুলোর জোট ফের মালিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইকোওয়াসের পাশাপাশি ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, মালিতে ক্ষমতার এ দ্বন্দ্ব দেশটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের অস্থিতিশীলতাকে আরও উসকে দিতে পারে। ওই অঞ্চলগুলোতে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী বেশ সক্রিয়।
সাংবিধানিক আদালতের ঘোষণার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে গোইতা প্রধানমন্ত্রী পদে এম৫-আরএফপি জোটের সদস্যদের মধ্য থেকে কাউকে বেছে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এই এম৫-আরপিএফ জোটই কেইতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মালির অন্তর্র্বতী সরকারের নতুন প্রেসিডেন্ট আসিমি গোইতা

আপডেট সময় : ১১:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালির অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্নেল আসিমি গোইতার নাম ঘোষণা করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
গত বছরের অগাস্টে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কেইতার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের অন্যতম গোইতা সপ্তাহখানেক আগেও অন্তর্র্বতী সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন
মন্ত্রিসভায় এক রদবদলের পর গত সপ্তাহে তার নির্দেশেই অন্তর্র্বতী প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোক্তার উয়ানকে আটক করা হয়েছিল।
আটক অবস্থাতে গত বুধবার এনদাও আর উয়ান পদত্যাগ করেন; এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সাংবিধানিক আদালত নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোইতার পক্ষে রায় দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অন্তর্র্বতী সরকারের নেতৃত্বে এ রদবদলের ঘটনা দেশটির গণতন্ত্রে ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে গত রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর নেতারা ঘানাতে এক জরুরি বৈঠকেও বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
কেইতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গত বছর ১৫ দেশের জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকা (ইকোওয়াস) মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া অন্তর্র্বতী সরকার বেসামরিক নেতৃত্বে পরিচালিত হবে, এমন আশ্বাস পেয়ে ইকোওয়াস গত অক্টোবরে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। গোইতা অন্তর্র্বতী সরকারের নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশগুলোর জোট ফের মালিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইকোওয়াসের পাশাপাশি ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, মালিতে ক্ষমতার এ দ্বন্দ্ব দেশটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের অস্থিতিশীলতাকে আরও উসকে দিতে পারে। ওই অঞ্চলগুলোতে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী বেশ সক্রিয়।
সাংবিধানিক আদালতের ঘোষণার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে গোইতা প্রধানমন্ত্রী পদে এম৫-আরএফপি জোটের সদস্যদের মধ্য থেকে কাউকে বেছে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এই এম৫-আরপিএফ জোটই কেইতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিল।