ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

মালিতে যৌথ অভিযানে অন্তত ৩০ জঙ্গি নিহত: ফ্রান্স

  • আপডেট সময় : ১২:৫০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন টাকুবা টাস্ক ফোর্স ও মালির সেনাদের যৌথ অভিযানে অন্তত ৩০ জঙ্গি নিহত এবং তাদের অধীনে থাকা বহু যানবাহন ও বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ধ্বংস হয়েছে।
গত সপ্তাহে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে তৎপর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযানে এসব সাফল্য এসেছে বলে ফ্রান্সের সেনা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযানগুলো চালানো হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি মূল অভিযানের দিন মোটরবাইকে থাকা একদল জঙ্গিকে ড্রোনের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এরপর ইউরোপীয় সেনা ও মালির বাহিনীগুলোর সহায়তায় মিরেজ ২০০০ টহল জঙ্গিবিমান ‘প্রায় ২০ জঙ্গিকে নিস্ক্রিয় করে ফেলে’।
অভিযানে কয়েক ডজন কিলোগ্রাম বিস্ফোরক থাকা একটি যান, অস্ত্রশস্ত্র এবং সাহেল অঞ্চলে অভিযানে জঙ্গিরা ব্যবহার করতো এমন একাধিক মোটরবাইকও ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন এক সময় এ যৌথ অভিযান হল, যখন মালি ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। মালিতে ধারাবাহিক সামরিক উপস্থিতি নিয়ে প্যারিস এবং এর অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্ররা প্রশ্নের মুখেও পড়েছে। এতে আরও বলা হয়, ফ্রান্সের ইউরোপীয় মিত্ররা মালির পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ অ্যাখ্যা দিয়ে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই কীভাবে চালিয়ে নেওয়া হবে সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। গত বছর এক অভ্যুত্থানের পর মালির অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া চোগুল মাইগা সোমবার ফরাসি বাহিনীর বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভক্ত করা ও ইসলামী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যেই গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে ফ্রান্সের সেনা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর ত্রিদেশীয় সীমান্ত অঞ্চলে চালানো অভিযানগুলো উচ্চ মাত্রার সহযোগিতা এবং মালির সেনাবাহিনী ও এস্তোনিয়ার বিশেষ বাহিনীসহ ইউরোপিয়ান টাস্ক ফোর্সের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের কার্যকারিতা দেখাচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মালিতে যৌথ অভিযানে অন্তত ৩০ জঙ্গি নিহত: ফ্রান্স

আপডেট সময় : ১২:৫০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন টাকুবা টাস্ক ফোর্স ও মালির সেনাদের যৌথ অভিযানে অন্তত ৩০ জঙ্গি নিহত এবং তাদের অধীনে থাকা বহু যানবাহন ও বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ধ্বংস হয়েছে।
গত সপ্তাহে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে তৎপর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযানে এসব সাফল্য এসেছে বলে ফ্রান্সের সেনা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযানগুলো চালানো হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি মূল অভিযানের দিন মোটরবাইকে থাকা একদল জঙ্গিকে ড্রোনের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এরপর ইউরোপীয় সেনা ও মালির বাহিনীগুলোর সহায়তায় মিরেজ ২০০০ টহল জঙ্গিবিমান ‘প্রায় ২০ জঙ্গিকে নিস্ক্রিয় করে ফেলে’।
অভিযানে কয়েক ডজন কিলোগ্রাম বিস্ফোরক থাকা একটি যান, অস্ত্রশস্ত্র এবং সাহেল অঞ্চলে অভিযানে জঙ্গিরা ব্যবহার করতো এমন একাধিক মোটরবাইকও ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন এক সময় এ যৌথ অভিযান হল, যখন মালি ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। মালিতে ধারাবাহিক সামরিক উপস্থিতি নিয়ে প্যারিস এবং এর অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্ররা প্রশ্নের মুখেও পড়েছে। এতে আরও বলা হয়, ফ্রান্সের ইউরোপীয় মিত্ররা মালির পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ অ্যাখ্যা দিয়ে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই কীভাবে চালিয়ে নেওয়া হবে সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। গত বছর এক অভ্যুত্থানের পর মালির অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া চোগুল মাইগা সোমবার ফরাসি বাহিনীর বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভক্ত করা ও ইসলামী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যেই গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে ফ্রান্সের সেনা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর ত্রিদেশীয় সীমান্ত অঞ্চলে চালানো অভিযানগুলো উচ্চ মাত্রার সহযোগিতা এবং মালির সেনাবাহিনী ও এস্তোনিয়ার বিশেষ বাহিনীসহ ইউরোপিয়ান টাস্ক ফোর্সের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের কার্যকারিতা দেখাচ্ছে।