ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

মালিক-শ্রমিকদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিযোগিতামূলক বর্তমান বিশ্বে শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখার পাশাপাশি রপ্তানির গতি বৃদ্ধিতে মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মালিকদের শ্রমিকদের স্বার্থটা দেখতে হবে। কারণ তাদের শ্রমেই এই বিশাল কলকারখানা গড়ে উঠেছে। আবার শ্রমিকদেরও এটা মনে রাখতে হবে এখান থেকেই তাদের নিজ ও পরিবারের আয়ের যোগান হয়। এজন্য শ্রমিকদের কারখানার প্রতি যতœবান হতে হবে; কারখানা ঠিকভাবে যেন চলে, উৎপাদন যেন বাড়ে।’
গতকাল বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান এবং মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলসহ আটটি নবনির্মিত স্থাপনা উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিওতে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া হয় ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ছয়টি শিল্প খাতের ৩০ প্রতিষ্ঠান বা কারখানাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক খাতের ১৫টি কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের তিনটি এবং চা শিল্প খাতের চারটি, চামড়া শিল্প খাতের দুটি, প্লাস্টিক শিল্পের তিনটি এবং ওষুধ শিল্প খাতের তিনটি কারখানা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান পুরস্কার তুলে দেন। সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘এমনভাবে কলকারখানা গড়ে তুলতে হবে যেন কৃষিজমি নষ্ট না হয়। এই পুরস্কার দেয়ার মধ্য দিয়ে আগামীতে সবাই পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তোলায় আগ্রহী হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে এখন সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে উঠেছে, এটা আমরা বলতে পারি। তিনি বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ২০০৮ সালে যে লক্ষ্য স্থির করেছি, সেটা বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। তবে উন্নয়নশীল দেশের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, আমরা সেটা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পে সবাইকে আশ্রয় দিবো। যাদের জমি আছে তাদেরও ঘর করে দিচ্ছি। চরাঞ্চলে শুধু টিনের ঘর করে দিবো, যাতে নদী ভাঙন দেখা দিলে সরিয়ে আনা যায়। উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস সহিষ্ণু ঘর করে দিচ্ছি। মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে আওয়ামী লীগ সরকার সবই করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সংকটে প্রতিটি কলকারখানা বা প্রতিষ্ঠানে মালিক ও শ্রমিক যেন ঠিকমত কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। করোনা সংকটেও উৎপাদন চলমান রাখায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। ভর্তুকি সুবিধাসহ কলকারখানাকে বিভিন্ন সুবিধা আমরা দিচ্ছি। শ্রমিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে আবাসনের জন্য নির্মিত শ্রমজীবী নারী হোস্টেলসহ আটটি স্থাপনা উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে নারীরা ন্যায্য পাওনা পেতেন না। আমরা ক্ষমতায় এসে নারীদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। তারা যাতে সুন্দরভাবে নিরাপদে থাকতে পারেন সেজন্য শ্রমজীবী হোস্টেল করা হয়েছে। আমরা নারীদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মালিক-শ্রমিকদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০১:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিযোগিতামূলক বর্তমান বিশ্বে শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখার পাশাপাশি রপ্তানির গতি বৃদ্ধিতে মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মালিকদের শ্রমিকদের স্বার্থটা দেখতে হবে। কারণ তাদের শ্রমেই এই বিশাল কলকারখানা গড়ে উঠেছে। আবার শ্রমিকদেরও এটা মনে রাখতে হবে এখান থেকেই তাদের নিজ ও পরিবারের আয়ের যোগান হয়। এজন্য শ্রমিকদের কারখানার প্রতি যতœবান হতে হবে; কারখানা ঠিকভাবে যেন চলে, উৎপাদন যেন বাড়ে।’
গতকাল বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান এবং মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলসহ আটটি নবনির্মিত স্থাপনা উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিওতে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া হয় ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ছয়টি শিল্প খাতের ৩০ প্রতিষ্ঠান বা কারখানাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক খাতের ১৫টি কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের তিনটি এবং চা শিল্প খাতের চারটি, চামড়া শিল্প খাতের দুটি, প্লাস্টিক শিল্পের তিনটি এবং ওষুধ শিল্প খাতের তিনটি কারখানা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান পুরস্কার তুলে দেন। সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘এমনভাবে কলকারখানা গড়ে তুলতে হবে যেন কৃষিজমি নষ্ট না হয়। এই পুরস্কার দেয়ার মধ্য দিয়ে আগামীতে সবাই পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তোলায় আগ্রহী হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে এখন সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে উঠেছে, এটা আমরা বলতে পারি। তিনি বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ২০০৮ সালে যে লক্ষ্য স্থির করেছি, সেটা বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। তবে উন্নয়নশীল দেশের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, আমরা সেটা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পে সবাইকে আশ্রয় দিবো। যাদের জমি আছে তাদেরও ঘর করে দিচ্ছি। চরাঞ্চলে শুধু টিনের ঘর করে দিবো, যাতে নদী ভাঙন দেখা দিলে সরিয়ে আনা যায়। উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস সহিষ্ণু ঘর করে দিচ্ছি। মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে আওয়ামী লীগ সরকার সবই করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সংকটে প্রতিটি কলকারখানা বা প্রতিষ্ঠানে মালিক ও শ্রমিক যেন ঠিকমত কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। করোনা সংকটেও উৎপাদন চলমান রাখায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। ভর্তুকি সুবিধাসহ কলকারখানাকে বিভিন্ন সুবিধা আমরা দিচ্ছি। শ্রমিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে আবাসনের জন্য নির্মিত শ্রমজীবী নারী হোস্টেলসহ আটটি স্থাপনা উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে নারীরা ন্যায্য পাওনা পেতেন না। আমরা ক্ষমতায় এসে নারীদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। তারা যাতে সুন্দরভাবে নিরাপদে থাকতে পারেন সেজন্য শ্রমজীবী হোস্টেল করা হয়েছে। আমরা নারীদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।