এএফপি : মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে হঠাৎই দেখা দিয়েছে মৌসুমী বন্যা। হঠাৎ প্লাবিত হওয়ায় অঞ্চলটিতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ৭০ হাজারের বেশি লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির কেলান্তান রাজ্যের ৩১ হাজারের বেশি লোক বাস্তুহারা হয়েছে। এছাড়াও বন্যার পর ৩৯ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে প্রতিবেশী তেরেঙ্গানুতে অস্থায়ী আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি বার্তা সংস্থা বার্নামা জানিয়েছে। জরুরি সেবা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোট পাঁচজন মারা গেছেন।
কেলান্তানের কুয়ালা ক্রাই জেলার মুহম্মদ আমেনুদিন বদরুল হিসিয়াম বলেছেন, ‘পানির স্তর প্রায় তিন মিটারে পৌঁছেছে।’
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, সোমবার কেলান্তানে চারজন মারা যায়। এর মধ্যে তিন বোন বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এবং ১৫ মাস বয়সী আরেকটি শিশু ডুবে গেছে। রবিবার তেরেঙ্গানুতে প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু ছিল পঞ্চম শিকার। বার্নামার খবরে বলা হয়েছে, পাহাং, জোহর এবং পেরাক রাজ্যে বাকি বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব বর্ষার কারণে ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যা সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে বন্যা একটি বার্ষিক ঘটনা যা নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটে থাকে। গত বছর একই মাসে দেশটি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেবারের বন্যায় ৫০ জনের বেশি লোক মারা গিয়েছিল এবং কয়েক হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। তিনি বলেছেন, তার সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ধার প্রচেষ্টার জন্য অতিরিক্ত তহবিল ছাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তিনি দেশটির অর্থমন্ত্রী। মঙ্গলবার সংসদে তিনি বলেছেন, সরকার প্রাথমিকভাবে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে ৯ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।
দুর্যোগ কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।