প্রত্যাশা ডেস্ক: এবার পেন্টাগনে শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বে বড় ধরনের রদবদল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীসহ সামরিক বাহিনীর সাত শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। প্রথমেই তিনি চেয়ারম্যান অফ দ্য জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল চার্লস সিকিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন। এছাড়া নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেট্টি ও বিমান বাহিনীর ভাইস চিফ অফ স্টাফ জেনারেল জিম স্লাইফকেও বরখাস্ত করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুদ্ধবিমানের চার তারকাবিশিষ্ট পাইলট সিকিউ ব্রাউন আফ্রিকা বংশোদ্ভূত দ্বিতীয় কোনো মার্কিন নাগরিক, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন।
এখন সিকিউ ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বিমানবাহিনীর তিন তারকাবিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ড্যান রেজিন কেইন। ইরাকে ছয় বছর আগে ট্রাম্পের সঙ্গে এক সাক্ষাতে তিনি নিজেকে তার একজন আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুখ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম জেনারেল ব্রাউনের ৪০ বছরেরও বেশি সেবার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড্যান রেজিন কেইনকে ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য মনোনীত করবেন বলেও জানান।
এর ফলে প্রথমবারের মতো কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক পদে বসানোর নজির স্থাপন করবে।
এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জেনারেল ব্রাউনকে তার মনোভাব এবং সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সমালোচনা করেছিলেন।
মেরিল্যান্ডের একটি ফেডারেল আদালত সাময়িকভাবে ট্রাম্পকে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা থেকে বিরত রেখেছে। জেলা বিচারক অ্যাডাম অ্যাবেলসন বলেছেন যে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মুক্ত বক্তৃতার অধিকার লঙ্ঘন করে।